নারী মর্যাদা ও নিরাপত্তায় ইসলামের পূর্ণ নিশ্চয়তা — হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বলায়েরচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে গতকাল (১৫ নভেম্বর) এক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সদর আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সমাবেশে হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, “নারীর মর্যাদা নিশ্চিত করতে পৃথিবীর বিভিন্ন মতবাদ নানা প্রস্তাব রেখেছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই নারীর প্রকৃত উৎকর্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।

 একমাত্র ইসলামই নারীর পরিপূর্ণ মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে যারা নারীর অধিকার নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা নিজেরাই এ বিষয়ে উদাসীন। তিনি দাবি করেন, “জামায়াতে ইসলামই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন, যার অর্ধেক সদস্য নারী। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে নারীর এমন অংশগ্রহণ নেই।” নারীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “আল্লাহ নারীদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নির্ধারণ করেছেন।

 কিন্তু কিছু রাজনৈতিক মহল নারীদের হেয় করার চেষ্টা করছে। জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের ঘরে আটকে রাখার কোনো নীতি নেই; বরং কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে রাতের আঁধারে একজন নারীও শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে—যেমনটি ছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে।” শেরপুরে নারীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ জেলায় নারী শিক্ষার জন্য আধুনিক কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও অত্যন্ত দুর্বল।

 ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।” তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমি এমপি নির্বাচিত হলে শেরপুরে সবার জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে, বিশেষ করে নারীর স্বাস্থ্যসেবায় বড় পরিবর্তন আনা হবে।

 পাশাপাশি সকল নারীর জন্য প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।” উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “শেরপুরে স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে নারীদের জন্য ১০০% আবাসন সুবিধা থাকবে এবং সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।” নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন,

“আমরা নারীদের এমন অবস্থান দিতে চাই, যেখানে তাদের সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ সক্ষমতা বজায় থাকবে।” সমাবেশের শেষাংশে তিনি ভোটারদের ন্যায়পরায়ণতা ও বিবেকের ভিত্তিতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার ভোট আমি দেবো—এ নীতিতে নয়; বরং যাঁরা ন্যায়, সত্যবাদিতা, তাকওয়া ও আমানতদারীতায় অটল, তাঁদেরকেই ভোট দিন।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের সহযোগিতা পেলে শেরপুরে একটি আদর্শ, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলবেন।

‘আ. লীগ কর্মীদের’ না ছাড়ায় পুলিশের হাড়গোড় ভাঙার হুমকি যুবদল নেতার

(১৩ নভেম্বর): ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানায় পুলিশের ওপর অশ্রাব্য গালিগালাজ ও ‘হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ইতোমধ্যে থানার পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম। জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের চার কর্মী-সমর্থক—হামিদুর রহমান (৬০), সারোয়ার নুর লিওন (৩২), খলিলুর রহমান (৫০) ও জিয়াউর রহমান (৪২)—কে গ্রেপ্তার করে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় আনার সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। পুলিশ তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে পরদিন জাহিদুলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী থানায় হাজির হন।

পরবর্তীতে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. নাজমুল হুদা মিঠু থানায় এসে নিজেকে হামিদুর ও সারোয়ারের আত্মীয় পরিচয় দেন এবং ওসিকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওসি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে মিঠু ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন “বাইরে গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেব, কীভাবে চাকরি করেন দেখে নেব।” ওসি মুহাম্মদ আরশেদুল হক বলেন, “আমরা চারজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি, এজন্য যুবদল সভাপতি মিঠু আমাকে এবং অন্য কর্মকর্তাদের গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন।

বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।” অপরদিকে, নাজমুল হুদা মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু আমার ব্যবসায়ীক পার্টনারদের আটক বিষয়ে জানতে থানায় গিয়েছিলাম, কোনো হুমকি দেইনি।”

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “থানায় এ ধরনের হুমকি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জিডি করেছি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রয়োজনে কোর্টের আদেশ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সালাতুল ইসতিসকার পর বৃষ্টিতে ভাসল মক্কা-মদিনা

সৌদি আরবে বৃষ্টি কামনার বিশেষ নামাজ সালাতুল ইসতিসকা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই নামল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। শুক্রবার প্রবল বর্ষণ হয় মদিনায়। শনিবার মক্কায়ও ভারী বর্ষণ হয়।

বৃষ্টির পরই প্রতিকূল আবহাওয়ার সর্বোচ্চ সতর্কতা দিয়েছে সৌদি জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম)।সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের আহ্বানে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে মসজিদগুলোতে বৃষ্টি কামনার বিশেষ নামাজ সালাতুল ইসতিসকা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একই উদ্দেশ্যে কুয়েত, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মুসল্লিরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছিলেন।বর্তমানে মক্কা, মদিনা, রিয়াদ ও আসিরসহ সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

সৌদি জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনায় এবং এর ফলে জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। জন্য লাল সতর্কতা এবং মক্কার জন্য তীব্র আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। শিলাবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাতের আশঙ্কায় বাসিন্দা ও ওমরাহ পালনকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সূত্র: খালিজ টাইমস।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল করা হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানের প্রস্তাবনা ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ছিল। সেটা পরবর্তীতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারলে সেটি সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে।আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কওম হিসেবে, মুসলমান হিসেবে বিভক্তি এবং দুর্বলতার কারণে ফিলিস্তিনের গাজাবাসী, আরাকানের রোহিঙ্গাসহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হতে হচ্ছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দেয়, এ দেশের জনগণ যদি আমাদের মহব্বত করে দায়িত্ব দেয়, যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, মঞ্চে উপবিষ্ট যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পীরে কামেল, হজরত, ওলামায়ে কেরাম, আমাদের দেশের বুজুর্গানে দ্বীন যারা আমাদের পরিচালিত করেন, সবাই যদি আপনারা সহযোগিতা করেন, একসাথে থাকেন, তাহলে আপনাদের এখানে আজকে যে সমস্ত দাবি-দাওয়া আছে, আমরা সকল দাবি-দাওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ইনশাআল্লাহ কানুনি ব্যবস্থা…’

তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই মঞ্চ থেকে অনেকে এবং সামনে উপবিষ্টরা সালাহউদ্দিন আহমদকে নিজ মুখে ‘কাদিয়ানিদের’ কাফির ঘোষণার দাবি তুলে হইচই শুরু করেন।

তখন সালাহউদ্দিন আহমদ তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কানুনি সকল ব্যবস্থা জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ। এ জন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাই হোক, আপনারা যে ভাষায় আমাকে কথা বলতে বলছেন, সেটি আইনের ভাষা নয়। আইনের ভাষা হচ্ছে এগুলো কার্যকর করার জন্য, এই প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সারা দেশের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করব।’

আহমদীয়াদের অমুসলিম ঘোষণা সময়ের দাবি: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলামের আমির মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, পৃথিবীর বহু মুসলিম রাষ্ট্র—যেমন পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং আরও অনেক দেশ—কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করেছে। মুসলমানদের আকিদা রক্ষার্থে বাংলাদেশেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

আজ শনিবার ১৫ নবেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলামের ১৩ দফা দাবির একটি অন্যতম দফা হলো কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। এ দাবি আমরা বহুদিন ধরে জানিয়ে আসছি।

বাবুনগরী আরও বলেন, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার বিষয়ে সরকারের প্রতি আমরা দৃঢ় দাবি জানাচ্ছি। এ দাবির কোনো বিকল্প আমরা চাই না। খতমে নবুয়তের আকিদার ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়।তিনি ইসলামি জনমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে সরকারের প্রতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।

ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়লে ইমানি মৃত্যু লাভ হয়

ইমানি মৃত্যু লাভ করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে এই দোয়া পড়ুন:اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيكَ وَأَلْجَأتُ ظَهرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيكَ آمَنْتُ بِكِتابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইক, ওয়া ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া ইলাইক, ওয়া ফাউওয়াযতু আমরী ইলাইক, ওয়া আলজা’তু যাহরী ইলাইক, রাগবাতাঁঊ ওয়া রাহবাতান্ ইলাইক্, লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আনযালতা বিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আমার প্রাণ আপনার প্রতি সমর্পণ করেছি, আমার মুখমণ্ডল আপনার দিকে ফিরিয়েছি, আমার সকল কর্মের দায়িত্ব আপনাকে সোপর্দ করেছি, আমার পিঠ আপনার দিকে লাগিয়েছি (আপনার ওপরেই সকল ভরসা রেখেছি), এসব কিছু আপনার সওয়াবের আশায় ও আপনার আজাবের ভয়ে করেছি। আপনার কাছে ছাড়া আপনার আজাব থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই। আপনি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার ওপর এবং আপনি যে নবী প্রেরণ করেছেন তার ওপর ইমান এনেছি।

বারা ইবনে আযেব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রাতে শোয়ার আগে নামাজের অজুর মত অজু করবেন, তারপর ডান কাতে শুয়ে উপরোক্ত দোয়া পড়বেন, তাহলে আপনি যদি মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে ইসলামের ওপরেই মৃত্যুবরণ করবেন। আর এই বাক্যগুলোকে আপনার শেষ কথা বানান। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)ঘুম না এলে যে দোয়া পড়বেনরাতে বিছানায় শোয়ার পর ঘুম না এলে মহানবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শেখানো এ দোয়াটি পড়ুন:

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার, রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়ামা বায়নাহুমাল আযিযুল গাফফার।অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, প্রবল প্রতাপের অধিকারী। আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক। তিনি পরাক্রমশলী ক্ষমাশীল।

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মহানবী (সা.) রাতে ঘুম না এলে এ দোয়াটি পড়তেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান)পাশাপাশি এ দোয়াটিও পড়তে পারেন:اَللّٰهُمَّ غَارَتِ النُّجُوْمُ وَهَدَأَتِ الْعُيُوْنُ وَأَنْتَ حَيٌّ قَيُّوْمٌ لاَ تَأْخُذُكَ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ أَهْدِئْ لَيْلِيْ وَأَنِمْ عَيْنِيْ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা গারাতিন নুজুম ওয়া হাদাআতিল উয়ুন ওয়া আনতা হাইয়ুন কাইয়ুম লা তাখুযুকা সিনাতুউ ওয়ালা নাওম ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম আহদিঅ্ লাইলী ওয়া আনিম আইনি।

অর্থ: হে আল্লাহ! তারকারাজি নিভে গেছে, মানুষের চোখগুলো শান্ত হয়ে গেছে আর আপনি তো চিরঞ্জীব-চিরস্থায়ী—তন্দ্রা ও নিদ্রা যাকে স্পর্শ করতে পারে না। হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমার রাতকে শান্তিময় করুন এবং আমার চোখে ঘুম দিন।জায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) থেকে দুর্বল সূত্রে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি আল্লাহর রাসুলকে (সা.) তার অনিদ্রা রোগের কথা জানালে তিনি তাকে এ দোয়াটি পড়তে বলেন এবং এই দোয়াটির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার সমস্যা দূর করে দেন। (তাবরানি)

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

গণভোটের মধ্যে দিয়ে সংবিধান সংশোধন ও আইন করা সম্ভব নয়, প্রয়োজন নির্বাচিত সংসদ। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।  

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নারীর ওপর সহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন নারী সমাজ শীর্ষক মৌন মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোন আইন বা আদেশ দিয়ে যেন সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে জবরদস্তি করে কিছু চাপিয়ে দেয়া হলে জনগণ তা বিবেচনা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলেছি, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে সেটা আমরা প্রতিপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অঙ্গীকারাবদ্ধ। জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে রচিত হয়েছে, গৃহীত হয়েছে, স্বাক্ষরিত হয়েছে আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। 

এর বাইরে চাপিয়ে দেওয়া জবরদস্তিমূলক আর কোনো প্রস্তাব যদি দেওয়া হয়, জনগণ সেটা বিবেচনা করবে। গণভোটের মাধ্যমে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে জনগণের সম্মতি দেওয়ার জন্য যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমরা স্বাগত জানিয়েছি, যোগ করেন তিনি। 

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, গণভোটের মধ্যে দিয়ে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না। তার জন্য এদেশে জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হোক, সেটা আমরা চাই। এ জাতি চায়। আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এই জাতির সমস্ত জনগণ সেই ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে উৎসবমুখরভাবে প্রয়োগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, সে জন্য আমরা কোনো আরোপিত আইন, আদেশ, জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বকে আমরা হস্তক্ষেপ করাতে দিতে চাই না।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে রাজনীতি করতে চায়, তারা চায় নারীরা ঘরের ভেতর থাকুক। তাই তারা নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে চায়, যার ফলে তারা ঘরের ভেতর থাকবে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা নারীদের চাকরি দেবে না।

তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি চাইলে নারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, নারীদের সামাজিক মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নয়, দেশে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে

মিসরে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি হাফেজা হুমায়রা

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় মেয়েদের বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি হাফেজা হুমায়রা মাসুদ।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কায়রোতে ‘ইন্দোনেশিয়ান কোরআন রিসাইটারস অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত প্রতিযোগিতার সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে মেয়েদের গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে হুমায়রার নাম ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি।গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হুমায়রার স্বামী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ গুলজার আজহারি। তিনি জানান, প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশের মোট ১৪৩ প্রতিযোগী অংশ নেন।

মেয়েদের জন্য নির্ধারিত বিভাগে প্রথম হন হুমায়রা মাসুদ, দ্বিতীয় হন আয়েশা ইজ্জত মুসলিমা (ইন্দোনেশিয়া) এবং তৃতীয় হন কায়রানি নফসুল মুতমাইন্না (ইন্দোনেশিয়া)।

অন্যদিকে ছেলেদের বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন বশির উসমান ইমাম (নাইজেরিয়া)। এ ছাড়া দ্বিতীয় মুহাম্মাদ তাওফিক হাকিম (ইন্দোনেশিয়া) এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন সওলা মুহাম্মাদ দিয়া আল হক (ইন্দোনেশিয়া)।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আল-আজহার মসজিদের ইমাম ও ক্বারী শায়খ ফাওযী আল-বারবারী আজহারি।হুমায়রা মাসুদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামে। বর্তমানে তিনি মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক থিওলজি অনুষদে অধ্যয়নরত। মেধাবী এই তরুণী নারায়ণগঞ্জের উম্মে আইমান (রা.) আন্তর্জাতিক বালিকা মাদ্রাসা থেকে হিফজ এবং জামিয়া ইব্রাহিমিয়া আমিনিয়া মহিলা মাদরাসা থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন।এর আগেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল সাফল্য পেয়েছেন হুমায়রা মাসুদ।

২০১০ সালে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। আর ২০২৫ সালে মিসরের ওয়াক্ফ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ৩১তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অনারবদের জন্য নির্ধারিত বিভাগে পঞ্চম হন তিনি।

শেখ হাসিনার মামলার রায় সোমবার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)।বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায়ের এই দিন ধার্য করেন।ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর চলতি বছরের ১২ মে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।অভিযোগগুলো হলো—গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।এই পাঁচ অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন (১০ জুলাই) সাবেক আইজিপি মামুন গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করেন।গত ১২ অক্টোবর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড চান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্কে এ মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের খালাস আবেদন করেন। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনেরও খালাস আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সেদিন (২৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা ১৩ নভেম্বর জানানো হবে। সে অনুযায়ী আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ (১৭ নভেম্বর) ধার্য করলেন।