‘আ. লীগ কর্মীদের’ না ছাড়ায় পুলিশের হাড়গোড় ভাঙার হুমকি যুবদল নেতার

(১৩ নভেম্বর): ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানায় পুলিশের ওপর অশ্রাব্য গালিগালাজ ও ‘হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জেলা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ইতোমধ্যে থানার পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম। জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের চার কর্মী-সমর্থক—হামিদুর রহমান (৬০), সারোয়ার নুর লিওন (৩২), খলিলুর রহমান (৫০) ও জিয়াউর রহমান (৪২)—কে গ্রেপ্তার করে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় আনার সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। পুলিশ তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে পরদিন জাহিদুলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী থানায় হাজির হন।

পরবর্তীতে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. নাজমুল হুদা মিঠু থানায় এসে নিজেকে হামিদুর ও সারোয়ারের আত্মীয় পরিচয় দেন এবং ওসিকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওসি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে মিঠু ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন “বাইরে গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেব, কীভাবে চাকরি করেন দেখে নেব।” ওসি মুহাম্মদ আরশেদুল হক বলেন, “আমরা চারজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি, এজন্য যুবদল সভাপতি মিঠু আমাকে এবং অন্য কর্মকর্তাদের গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন।

বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।” অপরদিকে, নাজমুল হুদা মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু আমার ব্যবসায়ীক পার্টনারদের আটক বিষয়ে জানতে থানায় গিয়েছিলাম, কোনো হুমকি দেইনি।”

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “থানায় এ ধরনের হুমকি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জিডি করেছি এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রয়োজনে কোর্টের আদেশ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *