আপন তাহলে ঠিক করেই ফেললেন ব্লগিং শুরু করবেন। কিন্তু এখনো ডোমেইন নাম কি দিবেন তা নিয়ে কল্পনা জল্পনা করছেন। আমার কিভাবে ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে হয় পোস্টটি পড়ার পরও একটা প্রশ্নে আপনি আটকে যাচ্ছেন? যে ডোমেইন নেম হিসেবে কি নিজের নাম দিব না ক্রিয়েটিভ কোনো নাম দিব? আর কোনো চিন্তা নেই আমি আপনাদের হেল্প করার […]
আপন তাহলে ঠিক করেই ফেললেন ব্লগিং শুরু করবেন। কিন্তু এখনো ডোমেইন নাম কি দিবেন তা নিয়ে কল্পনা জল্পনা করছেন।
আমার কিভাবে ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে হয় পোস্টটি পড়ার পরও একটা প্রশ্নে আপনি আটকে যাচ্ছেন? যে ডোমেইন নেম হিসেবে কি নিজের নাম দিব না ক্রিয়েটিভ কোনো নাম দিব?
আর কোনো চিন্তা নেই আমি আপনাদের হেল্প করার জন্য ডোমেইন নেম হিসেবে আপনার নাম দেয়া উচিৎ বা না? পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে নতুন ব্লগ শুরু করার সময় এমনটা সবারই কম বেশি হয়ে থাকে।
এই পোষ্টে আমি নিজের নাম দিয়ে ডোমেইন নাম করনের সকল সুবিধা অসুবিধা আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।
ডোমেইন নেম হিসেবে আপনার নাম ব্যবহারের সুবিধাসমূহ:-
ডোমেইন নাম হিসেবে নিজের নাম ব্যবহারের কিছু স্পষ্ট সুবিধা আছে। যেমন ধরুন:
পার্সোনাল ব্রান্ডিং:
আপনি হতে পারেন আপনার নিজের ব্রান্ড, আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য যদি নিজেকে ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় তবে নিসন্দেহে আপনার নিজের নামটা ডোমেইন নেম হিসেবে ব্যবহার করুন।
যদি আপনার নামটা একটু জটিল হয় অর্থাৎ উচ্চরণে জটিলতা তবে ছোট নিসের সাথে করে (নাম+নিস) ব্যবহার করুন।
যেমন:- digitalRana, RanaMarketer etc.
তাছাড়া অভিজ্ঞদের মতে,
নিসের সাথে বা ক্যাটাগরির সাথে আপনার নামের ব্যবহার মার্কেটিংয়ে অনেক সুবিধা প্রদান করে।
আমরা উপরের যদি RanaMarketer ডোমেইন নামটার কথা চিন্তা করি সহজে বুঝতে পারব ব্লগটা কি নিস নিয়ে কাজ করছে। শুধু নাম ব্যবহার করলে বুঝা যেত না ব্লগটা কোন টপিকের উপর। কিন্তু মার্কেটার কথাটার জন্য বুঝা যাচ্ছে এখানে অনলাইন মার্কেট বিষয়ক টিপস শেয়ার করছে রানা নামের কোনো ব্যাক্তি।
তাই নিসের বা টপিকের নামটা জুড়ে দিয়ে ব্লগের মার্কেটিং টা দুর্দান্ত করে নিন।
কনফিডেন্স বাড়ান:
আপনার নামটা ডোমেইন নেম হিসেবে ব্যবহার আপনাকে একটা সাহস জোগায়। আপনি আপনার ব্রান্ডের ফন্ট সাইট। এবং এতে আপনি উৎসাহ পান। তাছাড়া মানুষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পছন্দ করে। পাঠক যখন জানে সাইটের পেছনে কে কাজ করছে তখন তার আগ্রহ বাড়ে সাইটের সাথে এঞ্জেয হতে।
পোর্টফোলিও ও রেজুমির জন্য আদর্শ:-
আপনি যখনি নিজের পোর্টফোলিও সাইট বানান তখন একটা সাধারণ সেন্স যে ডোমেইন নেম আপনার নামে দিতে হবে। অনেক ফ্রিল্যান্সার, ডিজাইনার, ডেভলপার পরামর্শ দেন যে নিজের নামে সাইট করার। এতে নিজের ব্রান্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ও আরো ক্লাইন্টকে আকর্ষিত করে।
কেন ডোমেইন নাম হিসেবে নিজের নাম ব্যবহার করব না?
এখানে ডোমেইন নাম হিসেবে নিজের নাম না দেয়ার অনেক সুবিধা আছে। এবং নিজের নামটাকে ডোমেইনের নাম হিসেবে ব্যবহারের কি অসুবিধাও আছে।
ডোমেইন ফোন টেষ্টে ফেল করতে পারে:-
ডোমেইন ফোন টেষ্ট হল আপনার ডোমেইন সহজে খুজে বের করার একটা স্মার্ট রাস্তা।
আপনার নামটা যদি উচ্চরনে জটিলতা থাকে। এবং সহজে বানান করা না যায় বা বানানে ভুল হওয়ার সম্ভাবণা খুব বেশি থাকে তবে ডোমেইন ফোন টেষ্টে ফেল করবে।
ডোমেইন ফোন টেষ্ট হল আপনি ফোনে আপনার কোনো এক বন্ধুকে সাইটের নামটা বললেন। কিন্ত বানান বলে দিলেন না। এখন আপনার বন্ধু যদি নিজে বানান করে কোনো ভুল না করে সাইটে ঢুকতে পারে তবে ডোমেইন ফোন টেষ্টে পাশ করবে।
যদি বন্ধুটি বানান ভুল (spelling mistake) করে তাহলে সঠিক ডোমেইন নামটা লিখতে ব্যার্থ হল, সাইটে ঢুকতে পারলো না তাহলে এই টেস্টে আপনার ডোমেইন নেম ফেল করবে।
আমি ফোনে কাউকে বলি “visitSawati” আমার সাইটের নাম তুমি একটু ভিজিট করে দেখ। সে আমার কাছে বানান জানা ছাড়া ঢুকতে পারবে না। কারণ এখানে নামের বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ৮০%। কারণ এটা কমন নাম নয়। এটার বানান করা যে কারো পক্ষে কঠিন।
কিন্তু যদি বন্ধকে বলি “bnlite.com” তাহলে সে বানান ভুল করবে না। কারন এটা সহজ এবং কমন উচ্চরন।
বিষয়টা নিয়ে এখনি সতর্ক হোন। ডোমেইন ফোন টেষ্টে পাস না করা সাইটের একটা মারাত্নক সমস্য সমস্যা। ট্রাফিক বিভ্রান্ত হবে ও পরে চাইলেও আপনার সাইটে ফিরতে পারবে না।
ডোমেইন নামটি বিক্রি করতে সমস্যা:
এই একটা কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের নিষেধ করি নিজের নামটাকে ডোমেইন নাম হিসেবে ব্যবহার না করার। যদিও অনেকে প্রথমে মজা করা বা শুধু মাত্র সখের বশে ব্লগিং শুরু করে। তাদের ব্লগটা নিয়ে বড় কোনো আশা থাকে না। কিন্তু পরে বড় কিছু করতে চাই। কিন্তু নিজের নামটা ডোমেইন হিসেবে ব্যবহারের ফলে বড় কিছু করতে একটা বড় বাধার সম্মুখিন হতে হয়।
কেন বিষয়টা আগে থেকে একটু ভাববো না? আমার মনে হয় বিষয়টা সবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। ক্রেতারা সবসময় ক্রিয়েটিভ নামের ব্লগ কিনতে আগ্রহী থাকে। তারা কেন আপনার নামটাকে তাদের ব্লগে ব্যবহার করবে?
তাই এখন সতর্ক হোন যদি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারেন তবে নিজের নামটা ডোমেইন নাম হিসেবে ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। কিন্তু…
মন্তব্য:
এখানে বিস্তার আলোচনা একটাই উদ্দেশ্য, নিজের নাম ডোমেইন নেইম হিসেবে দেয়ার সকল সুবিধা আসুবিধা সম্পর্কে আপনাকে সচেতন করা।
যদি আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য নিজের ব্রান্ডিং করা ও কখনও সাইট বিক্রি করবেন না এমন হয় তবে নিসন্দেহে নিজের নামকে ডোমেইন নাম হিসেবে ব্যবহার করা ভালো।
আপনি যদি ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে ব্লগসাইট তৈরি করেন। যদি মনে করেন কখনও আপনার সাইট বিক্রি করলে করতেও পারেন তবে ডোমেইন নাম হিসেবে কোনো ক্রিয়েটিভ নাম নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো।
এমনটা করবেন যদি: ব্যবসার জন্য ক্রিয়েটিভ নাম নির্বাচন করতে চান যেমন: ‘bestBlogger’ আথবা নিজের নামটা ব্রান্ড করতে চান তবে যেমন: ‘emon.in’
নিজের নাম দিয়ে ডোমেইনের নামকরন করা হয়ে গেছে এখন কি করব?
আপনি লেখাটা পড়ার পর মনে হচ্ছে নিজের নামটাকে ডোমেইন নাম হিসেবে দিয়ে ভুল করে ফেলেছেন? বা এখন ভাবছেন ইস কতবড় ভুল হয়েছে? ডোমেইন নেমের জন্য আপনার বিসনেসটা বড় করতে পারছেন না।
ভাইয় এত ভাবার কিছুই নেই। আপনি যখন ইচ্ছা আপনার সাইটের ডোমেইন নামটা পরিবর্তন করতে পারেন। নাম পরিবর্তন বড় কোনো ব্যপার না। আমিও আমার ‘abemon.com’ সাইটার নাম পরিবর্তন করে ‘emon.in’ করেছি।
সঠিকভাবে ডোমেইন নেম পরিবর্তন করলে পারলে, সাইটের ট্রাফিকে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। আপনি আগের ডোমেইনের সকল ট্রাফিক বর্তমান ডোমেইনে রিডাইরেক্ট করে দিন। ব্যস!! আগের ট্রাফিক সব বর্তমান ডোমেইনে চলে আসবে। এবং আপনার ব্রান্ডিংয়ে সুবিধা পেয়ে যাবেন।
তাহলে আজ এখানেই শেষ করলাম। নিজের নামটাকে ডোমেইনের নাম হিসেবে ব্যবহার করা সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানান।