BEST ফেসবুক হ্যাকিং সাইট ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি হ্যাক করব। ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps অনেক আছে। ৩টি apps এর ব্যবহার করব।
Disclaimer: আর্টিকেলটি শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য। পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা কাউকে ক্ষতি করলে protibad.comকোনোভাবেই দায়ী নয়।
আমরা এই আর্টিকেলটিতে শিখবো: হ্যাকিং কি? ফিশিং কি ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps নিয়ে আলোচনা করব।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট নিয়ে আমরা কথা বলব। তবে তার আগে আমাদের জানার দরকার হ্যাকিং কি।
হ্যাকিং কি (What is hacking in bangla)
হ্যাকিং (hacking) হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি নিয়ে অথবা অনুমতি ব্যাতীত কোন কম্পিউটারে বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে থাকে।
হ্যাকিং কি বিষয়টাকে আরেকটু পরিষ্কার ভাবে বললে, হ্যাকিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিভিন্ন দূর্বলতা খুজে সেটাকে ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ভিতর প্রবেশ করা।
হ্যাকিং যে শুধু ওয়েবসাইট, ফেসবুক আইডি, মোবাইল বা কম্পিউটারের সাথে হয়ে থাকে, তা কিন্তু না। যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইসে হ্যাকিং হতে পারে।
যেমন: আইপি ক্যামেরা, অটোমেটিক যানবহন (মোটরগাড়ি), ল্যান্ডফোন ইত্যাদি হ্যাকিংয়ের স্বীকার হতে পারে।
যারা হ্যাকিং করে থাকে তাদের হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকার মানেই যে খারাপ কিছু তা নয়। হ্যাকারদের ভিতর প্রধানত তিনটি ক্যাটাগরি আছে।
১. White Hat Hackers: হোইট হ্যাট হ্যাকারকে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট বলা হয়। মানুষের ভালোর জন্য খারাপ হ্যাকারদের থেকে নেটওয়ার্ক, কম্পিউটারকে বাচানো এদের কাজ। অর্থাৎ এরা ভালো হ্যাকার।
তাছাড়া খারাপ হ্যাকারদের ধরা ও সাইবার অপরাধ রোধ করে থাকে।
২. Black Hat Hackers: ব্লাক হ্যাট হ্যাকার মানুষের ক্ষতি করার জন্য হ্যাকিং করে। টাকা আয় বা ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করে। অর্থাৎ এরা নীতিগত দিক থেকে খারাপ হ্যাকার।
৩. Gray Hat Hackers: গ্রে হ্যাট হ্যাকার- হোয়াইট হ্যাট ও ব্লাক হ্যাটের মাঝামাঝি হ্যাকার। মাঝে মধ্যে মানুষের ভালো করার জন্য হ্যাকিং করে; আবার মাধ্যে মধ্যে ক্ষতি করার জন্য। বেশিরভাগ সময় এরা টাকার জন্য খারাপ কাজের সাথে জড়িত হয়।
আমরা তাহলে বুঝলাম হ্যাকিং কি? হ্যাকার কারা ও এদের কাজ সম্পর্কে। আপনি ঠিক করবেন.. আর্টিকেলটি আপনার ফেসবুক একাউন্ট বাচানোর জন্য পড়বেন; নাকি অন্যকে ক্ষতি করে চোর হবার জন্য।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট টিউটোরিয়ালটিতে আমরা ফিশিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকিং করব। তাই ফিশিং কি নিয়ে একটু বলি।
ফিশিং কি (what is phishing in bangla)

ফিশিং কি? ফিশিং হলো এক প্রকার সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাকিং পদ্ধতি, যেটা ইউজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যেমন: ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, ফেসবুক পাসওয়ার্ড) চুরি করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাকিং হল মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কোনো জিনিস তার অগোচরে নিয়ে নেয়া। যেমন: আপনি ফেসবুকের লগিন পেজের মতো হুবহু একটি ওয়েবপেজ তৈরি করে; ওয়েব পেজের লিংকটি বন্ধুর কাছে দিলেন।
বন্ধু ফেসবুকে পেজ ভেবে লগিন ফোরামে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড বসালো… আর আপনি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়ে গেলেন।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট তৈরি
যদি আপনি HTML, CSS, JAVAscript সম্পর্কে জানেন তবে, কাজটি আপনার জন্য সহজ হবে। না জানলেও ক্ষতি নেই; আমি সহজ পদ্ধতিটি দেখাবো।
মোটামুটি ভালোমানের মোবাইল ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই সম্ভব। তবে যদি ল্যাপটপ কম্পিউটার থাকে তবে ভালো হবে।
যেকোনো পেজবিল্ডার ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করুন। আপনি Wapka Account ব্যবহার করতে পারেন। এটি ফ্রি- এবং এ সম্পর্কে প্রচুর টিউটোরিয়াল ইউটিউবে পেয়ে যাবে।
wapka -তে একাউন্ট করে হুবহু ফেসবুকের লগিন পেজের মতো একটি পেজ ডিজাইন করবেন। এবং ফরম-এ ডাটাবেস লিংক করে দিবেন।
লগিন ফরমে যতজন ব্যাক্তি তার ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড দিবে; সবই আপনার কাছে চলে আসবে। আপনি চাইলে সেই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে পারেবেন।
প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি যার ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চান; সে কেন আপনার দেয়া লিংকে গিয়ে লগিন করবে?
এখানেই কাজে আসবে আপনার সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সাইকোলজি স্কিল)।
কিভাবে একজন হ্যাকার এসব কাজ করেন; তা উল্লেখ করলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট তৈরির পর হ্যাকার কি করে
হ্যাকার ফেসবুক হ্যাকিং সাইট তৈরি করার সময় URL/লিংকের দিকে বেশি নজর দেয়। উন্নতমানে হ্যাকাররা ফেসবুকের লিংকের সাথে মিল রেখে সাইট তৈরি করে। যেমন:
https://www.ffacebook.com বা https://www.faacbook.com
অর্থাৎ লিংকগুলো দেখে মনে হবে ফেসবুকের সাইট। কিন্তু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, কোনো একটি অক্ষর উল্টো-পাল্টা আছে।
হ্যাকার হ্যাকিং করার সময় সবচেয়ে বেশি নজর দেয় সন্দেহের দিকে। সে এমনভাবে কাজটি করতে চায় যাতে কারোর সন্দেহ না হয়। সন্দেহ হলেই হ্যাকিংয়ের বারোটা বেজে যাবে।
এবার বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে চটকদার বিজ্ঞাপন দিবে। যেমন: এই লিংকে ক্লিক করে ফ্রি iphone জিতে নিন। বিশেষকরে অবাস্তব কিছু অফার দেয়; যেটা দেখে লোভ সামলানো কষ্টকর ব্যপার হয়ে দাড়ায়।
তারা সাধারণত কি কি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে লিস্ট:
- লগিন করলেই পাবেন ৩০GB ইন্টারনেট।
- কুইজ খেলে iphone, ipad, redme 10 জিতে নিন ইত্যাদি। এখন কুইজ খেলতে গেলে তো সাইন আপ করতে হবে।
- ফ্রি ৩০০মিনিট নিয়ে নিন।
- কোনো sexual কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারে।
- ফ্রি ভ্রমণের সুযোগ
বিভিন্ন ধরণের লোভ দেখাতে পারে। আসলে একজন কত রকম ভাবে লোভে পড়তে পারে তাই না।
আবার তাদের তার্গেট যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যাক্তি হয়; তাহলে তার কাছে এইধরনের অফার ফেক আইডি দিয়ে পাঠাবে। অথবা চ্যাটিং করবে, এবং একসময় লিংকটি দিয়ে বলবে ক্লিক করতে।
অধিকাংশ সময় মানুষ ক্লিক করে দেয় কারণ মানুষ মনে করে লিংকে ক্লিক করলে কি আর হবে!! যাতে সব তথ্য হ্যাকারের কাছে চলে যায়।
ফিশিংয়ে ফেসবুক হ্যাকিং করতে কিছু বিষয়:-
১. মাছ ধরতে যেমনি টোপ ফেলে বসে থাকতে হয়; ফিশিং লিংকে ভিক্টিম ক্লিক করার আগে পর্যন্ত আপনাকে বসে(অপেক্ষা) করতে হয়. ক্লিকেই যেন কেল্লাফতে!
২. একটু কোডিং না জানলে আপনার জন্য ফেসবুক হ্যাকিং সাইট তৈরি করা কষ্টকর হয়ে যাবে। wapka দিয়ে ফিশিং ওয়েবসাইট তৈরি করা গেলেও, wapka কতৃপক্ষ খবর পেলেই সাইটসহ আপনার একাউন্ট ব্যান করবে।
তাই সবসময় ভালো হয় নিজে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ফেসবুকের মতো সাইট বানিয়ে নিন। আপনি কোনো ওয়েব ডেভলপারের সাহায্য নিতে পারেন।
৩. anomor2 com সাইটে একাউন্ট করে ফেসবুক ফিশিং টুলস সংগ্রহ করে নিন। [ফিশিং সাইট হওয়ায় লিংকটি দিলাম না; গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।] এখানে পাওয়া লিংটি ভিক্টিমের কাছে দিয়ে দিবেন, লিংকে ক্লিক করাতে পারলেই আপনি তার আইপি এড্রেস সহ অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
৪. z-shadow com ওয়েবসাইটটিও উপরের সাইটের মতো একই প্রক্রিয়া।
যদি ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চাই ফিশিং পদ্ধতিতে তবে সাধারণত এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যবহার করা হয়। ফিশিং পদ্ধতি আসলে বড় বড় হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে না।
এটি ব্যবহার করে নিজেকে বড় মাপের হ্যাকার বলা বোকামী ছাড়া কিছুই না। সর্বোচ্চ হলে বন্ধুর সাথে মজা করতে পারেন। তাই প্রফেশনাল হ্যাকার হওয়ার উপায়টি পড়ুন।
তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কাউকে কাটি/নাড়তে/আড্ডা দিতে যাবেন না। আপনার নামে সাইবার আইনে মামলা হতে পারে।
মোটামুটি ফিশিং করে কিভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয় বললাম। এটি পড়ে আপনার লাভ, কিভাবে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে জানলেন।
আপনি যদি বিষয়গুলো সিরিয়াসলি নিয়ে সতর্ক হোন তবে ফিশিং হ্যাকারদের বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে দিতে পারবেন। কোনোরকম সন্দেহ হয় এমন লিংকে ক্লিক করবে না।
কি শুনাইলেন এখন তো সব ওয়েবসাইটই সন্দেহ হয়? তাহলে কি ইন্টারনেট চালানোই বন্ধ করে দিমু?
না, বিশেষ কিছু টিপস বা চিহ্নের কথা বলব… এগুলো মানলেই আপনার ফেসবুক আইডি কেউ হ্যাক করতে পারবে না।
১. HTTP ও HTTPS দুুটি এক বিষয় নয়। যেসব ওয়েবসাইটের লিংকের প্রথমে HTTPS নেই সেসব ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ড, ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অর্থ আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় এমন তথ্য দিবেনা না।
যেমন: http://facebook.com যদি পান বা http://xyz.com এই ধরনের সাইটে কোনো ফর্ম পূরণ করবেন না।
২. https আছে কিন্তু ডোমেইনের নামে ভুল আছে, এমন সাইটে লগিন করার চেষ্টা করবেন না। দরকার হয় গুগলে গিয়ে সার্চ করে কাঙ্খিত সাইটটি খুজে নিন।
৩. অপরিচিত কেউ কোনো লিংক দিলে, সেখানে ক্লিক করবেন না। পরিচিত কেউ দিলেও করবেন না – সাবধানতার মার নেই।
৪. যেকোনো অফারের লোভে পড়ে ক্লিক নয়। লোভে পাপ…পাপে সর্বনাশ।
মোটামুটি এগুলো মেনে চললে আপনি ফিশিং সাইট থেকে বেচে যাবেন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps
বাজারে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে মানুয়ের ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে পারবেন।
তবে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps ব্যবহার করেই যে আপনি যে কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলতে পারবেন ; তা নয়।
এই এপসগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনাকে এন্ড্রয়েড মোবাইল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অধিকাংশ ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps গুলো ROOTED ফোনে ছাড়া চলবে না।
আপনাকে প্রথমে ফোন রুট করা সম্পর্কে জানতে হবে, তারপরই ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps ব্যবহার করতে পারবেন। সমস্যা নাই ইউটিউবে ফোন রুট করার অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন; সেখান থেকে দেখুন। আমি পরবর্তীতে ফোন রুট করা সম্পর্কে ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করব।
Best 3 ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps
Spyzie
ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps এর ভিতর spyzie সবচেয়ে বেস্ট। এপসটির মাধ্যমে যে, আপনি শুধুমাত্র ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে পারবেন তা নয়; Android ফোনের অধিকাংশ বিষয় কন্ট্রোল করতে পারবেন।
www spyzie io সাইটে গেলেই বুঝতে পারবেন কিকি সুবিধা তারা দিবে। অন্যের মোবাইল ট্রাক করার জন্য এর থেকে ভালো ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps হতেই পারে না।

উপরের ছবিটিতে দেখতই পারছেন, অনেক হ্যাকিং রিলেটেড ফিচার এখানে দেয়া আছে। আপনি ভিক্টিমের ফোনে এপসটি ইনস্টল করে দেতে পারলেই; পেয়ে যাবেন- লোকেশন, মেসেজ ও ব্রাউজার হিস্টোরি সহ অনেককিছু।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps টি কিন্তু শুধু android hack করা যাকে তা নয়। আইফোনও হ্যাক করা সম্ভব।
আগেই বলে রাখি apps টি ফ্রি নয়। আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তবে টাকার পরিমাণ এর ফিচারের কাছে কিছুই নয়।

আপনি যদি মনে করে থাকেন এপসটি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি হ্যাক করলে আপনি নির্দোষ; তা কিন্তু নয়। আপনার নামে সাইবার আইনে মামলা হবে।
যদি ভিক্টিম কোনোভাবে বুঝতে পেরে পুলিশের কাছে যায়, তখন ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps ব্যবহার করার স্বাদ হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। তাই সাবধান হোন।
XpSpy
XpSpy app টি ফেসবুক আইডি হ্যাক করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। সকল প্রকার আধুনিক ট্রাকিং সিস্টেম এর ভিতর দেয়া আছে।
আপনার কাজ হবে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার এপটি ভিক্টিমের মোবাইলে ইনস্টল করে দেয়া। সমস্যা নাই, একবার ইনস্টল করার পর এপটি হাইড হয়ে যাবে।
মানে মোবাইলের ইউজার এপসটি দেখতে পাবে না। আপনি ট্রাক করতে পারবেন। শুধু যে ফেসবুক তাই নয় whatsapp, tinder, instagram সহ অনেকগুলো এপসকে হ্যাক করতে পারবেন।

ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps টি ব্যবহার করে আপনি গোয়েন্দাগিরি করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে এপসটি ক্রয় করে ব্যবহার করতে হবে।

এই ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps টি ব্যবহার করতে আপনাকে বছরে ১৪৯.৯৯ ডলার খরচ করতে হবে। তাই আপনার একান্ত প্রয়োজন ব্যাতিত কিনবেন না।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps টি কেনার জন্য XNSPY ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল ফিচার চেক করে কিনুন।
Hoverwatch
মোবাইল হ্যাক করার জন্য এপসটি ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে এপসটি কম্পিউটারে ইনস্টল করে, সবগুলো ডিভাইসকে মনিটর করতে পারবেন।
আপনি যদি শুধুমাত্র ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps খুজে থাকেন তাহলে এই এপনি কিনুন। অন্যান্যদের তুলনায় এটির দাম কম।
সমস্যা হল এই এপটির ফিচার অনেক কম।
সাইবার অপরাধ
আমরা আগেই জেনেছি, হ্যাকিং কি? হ্যাকিং করার শাস্তি সম্পর্কে জানব,
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৪ ধারা অনুযায়ী, কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম ইত্যাদির ক্ষতি, অনিষ্ট সাধন যেমন ই-মেইল পাঠানো, ভাইরাস ছড়ানো, সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ বা সিস্টেমের ক্ষতি করা ইত্যাদি অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
৫৬ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এমন কোনো কাজ করেন, যার ফলে কোনো কম্পিউটার রিসোর্সের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা এর উপযোগিতা হ্রাস পায় অথবা কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন, তবে এটি হবে হ্যাকিং অপরাধ, যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোনো মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তাহলে এগুলো হবে অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps বা ফেসবুক হ্যাকিং সাইট যেটিই ব্যবহার করুন না কেন; যদি কারোর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে করেন তাহলে আপনি অপরাধী।
সাইবার অপরাধের শাস্তি যে কম তা নয়; উপরের ধারাগুলো দেখলেই বুঝতে পারছেন।
আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে প্রথমে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা ব্যবস্থা নিবেন।
তবে যদি নিজের আইডি ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো হ্যাক করেন; তবে হয়তোবা মামলা খেলেও দ্রুত ছাড়া পাবেন। সবচেয়ে ভালা হয় আইনের সাহায্য নেয়া।
ফেসবুকে (facebook) রিপোর্ট করুন
অনেক সময় আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পর হ্যাকার টাকা দাবি করতে পারে। বলতে পারে টাকা না দিলে আপনার আইডি দিয়ে অশালীন পোস্ট করবে ও আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।
তখন আপনি অনেকগুলো আইডি: আপনার বন্ধু-বান্ধব, মা-বাবা, ভাই বোন যত আইডি আপনার কাছে আছে। সবগুলো ব্যবহার করে রিপোর্ট করুন।

অনেকে মিলে রিপোর্ট করলে আপনার আইডিটি ফেসবুক তাৎক্ষণিক ডিজেবল করে দিবে। পরবর্তীতে চাইলে আইডি দিয়ে রিকভার করা যাবে।
আপনি একই ট্রিকস কাজে লাগিয়ে যেকোনো ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল করে দিতে পারেন।
ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার উপায়
ফেসবুক অনেক বড় একটি কম্পানী; অবশ্যই তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম ভালো। ইউজারদের তাদের আইডি সুরক্ষার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ফেসবুক এমন কিছু সেটিংস চালু করেছে; যেগুলো চালু করলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হ্যাকারদের জন্য অনেক কষ্টকর।
১. কারোর কম্পিউটারে ফেসবুক একাউন্ট লগিন করবেন না। করলেও Private window ব্যবহার করুন। এবং কাজ শেষে লগ আউট করে বেরিয়ে যান।
২. পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় ফেসবুক লগিন করবেন না।
৩. ফেসবুকের টু ফ্যাক্টর অপশন অন করে রাখুন। এতে আপনার পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও আপনার পারমিশন ছাড়া অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না।
৪. অপরিচিত কারোর লিংকে ক্লিক করবেন না।
ধাপগুলো ফলো করলে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবণ ৯০% করে যাবে।
বাকি ১০% এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। কারণ সকল সিস্টেমে কিছু ত্রুটি থাকবে।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট নিয়ে সত্যতা
ফেসবুকের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক আপডেট। কারণ সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেন।
তাই আপনি খুব সহজে; বলতে গেলে আপনার একার দ্বার ফেসবুক হ্যাকিং সম্ভব নয়। তাছাড়া এখানে যে ওয়েবসাইট ও এপসের কথা বলা এগুলো শুধুমাত্র বেসিক হ্যাকিং।
যদি কোনো একাউন্ট বা আইডি হ্যাক করা যায়; সেটা হয়ে থাকে ব্যবহারকারীর অসচেতনতার অভাবে।
যেমন: ক্রাকিং সফটওয়ার ব্যবহার, যেকোনো লিংকে ক্লিক, চোখ বুজে যেকোনো এপস ইনস্টল করা ইত্যাদির ফলে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড হ্যাকার পেয়ে যান।
তাই যদি কারোর একাউন্ট হ্যাক করতে হয়। তবে ব্যবহারকারীর বিষয়ে জেনে, বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করতে পারেন। কারণ হ্যাকিংয়ের কোনো রাস্তা হয় না; সবকিছু আপনার প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে।
ফেসবুক হ্যাকিং সাইট এর মাধ্যমে হ্যাকিং করতে অনেক ধৈর্য্য দরকার। কখন ভিক্টিম ভুল করবে সেজন্য আপনাকে বসে থাকতে হবে।
ভুল না করলে আপনি তার ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক করতে পারবেন না।
আবার ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps গুলো আপনাকে তার মোবাইলে ইনস্টল করে দিতে হবে। অথবা তাকে দিয়ে তার মোবাইলে ইনস্টল করার মতো যোগ্যতা(Social Engineering) থাকতে হবে।
FAQ: ফেসবুক আইডি হ্যাক
ফেসবুক হ্যাক করা কি সম্ভব?
হ্যা। ফেসবুক কোম্পানী হ্যাক না করতে পারলেও আপনি ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে পারবেন।
ফেসবুক আইডি বেশিরভাগ সময় ফিশিং পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাক করা হয়।
ফেসবুক হ্যাকিং-এর হাত থেকে বাঁচার উপায় কী?
ফেসবুক হ্যাকিং থেকে আপনি ৯০% বাচতে পারলেও বাকি ১০% সম্ভাবণা থাকেই ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার।
আর্টিকেলের ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার উপায় সেকশনে আমি কিছু উপায় বলেছি। যা দিয়ে আপনার আইডিটি ৯০% নিরাপদ থাকবে।