বাংলাদেশি নায়িকা পরীমণি (porimoni)-র হাই সোসাইটি লাইফস্টাইল অনেক আগেই মিডিয়ার নজরে এসেছিল। কারণ ওই ধরনের লাইফস্টাইল লিড করার মতো রোজগার পরীমণি করেন না। এরপরেই বাড়িতে নিষিদ্ধ বিদেশি মাদক সহ রাখা সহ একাধিক মামলায় পরীমণি ফেঁসে গেছেন। এই মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশের একটি জেলে বন্দী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। বাংলাদেশের একাধিক উচ্চবিত্তদের শারীরিক চাহিদা মেটাতেন পরীমণি।
জেরার মুখে তিনি নিজেই এই কথা কবুল করেছেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন চুপ করেছিলেন পরীমণি। বাংলাদেশ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক (sheikh omar farooq) জানিয়েছেন, পরীমণির বয়ান যাচাই করে তা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীমণিকে দফায় দফায় জেরা করার পর রবিবার, 8 ই অগস্ট, মালিবাগে, সিআইডির সদর দপ্তরে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই তথ্য দেন ফারুক। তিনি জানিয়েছেন, পরীমণির বয়ানে উঠে এসেছে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির নাম। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না। কিন্তু প্রয়োজন হলে পরীমণির বয়ানে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ফারুক সিআইডির তদন্তে আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অপরাধী যতই প্রভাবশালী হয়ে থাকুন , তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবেই। ডি.বি.সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির সম্পর্কের ব্যাপারে ফারুক কিছু জানাননি। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছে যে মামলাগুলি এসেছে তা অধিকাংশই মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত। তাঁরা আপাতত সেই সম্পর্কেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তদন্তের গতিপ্রকৃতিও সেই অনুসারে চলছে।
ফারুক জানিয়েছেন, তদন্তে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও নির্দোষ ব্যক্তি যেন এই মামলায় শাস্তি না পান তাও সুনিশ্চিত করা হবে। ফারুক বলেছেন, পরীমণির মতো ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েছেন, এমন অনেকের নাম পেয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁদের সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বয়ান নথিভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ফারুক। সেই বয়ানও যাচাই করে তবেই তাঁরা তদন্ত এগোতে পারবেন।
অপরদিকে 7 ই অগস্ট রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে।