শশীভূষন থানার এওয়াজপুরের রশিদিয়া সড়ক ও রসুলপুরের বটতলা সড়ক সংযোগের জন্য লেতরা খালের উপর ব্রীজ প্রয়োজন। উক্ত ব্রীজটি নির্মানের কর্তৃপক্ষ চোখে তক্তার চশমা লাগিয়ে থাকে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানা সদর উত্তর ইভটিজিং পাড়ায় রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রীজ কিছুই নাই। ভোলা জেলার শশীভূষন থানা সদরের উত্তর বাইপাস সড়কের পার্শ্ববর্তী ইভটিজিং পাড়ার সড়কটি মানুষের যাতায়াতের অনুপযোগী। খানা-খন্দে ভরা। রিক্সা, গাড়ী, মোটরসাইকেল, ভেন, লড়ি, ট্রাক, টমটম, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল, বল ঠেলা গরুর গাড়ী, ইঞ্জিন চালিত গরুর গাড়ি, বোরাক, টেম্পু, নসিমন, প্রাইভেটকার, মালটানা গাড়ি, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স এমনকি কিছুই চলতে পারছে না। রাস্তা এতই খারাপ যে, বৃষ্টি সড়কের উপর পড়ার আগেই সড়কটি কাঁদায় ভর্তি হয়। শশীভূষন সদরের উত্তর বাইপাস সড়কটি প্রথমত শশীভূষন নতুন বাজার হয়ে গজারিয়া রোডে ওঠে। তারপর শশীভূষনের নতুন বাজার হতে গজারিয়া রোডে সোজা উত্তর দিকে রওনা দিয়ে গজারিয়া রোড হতে সোজা পশ্চিম দিকের প্রথম সড়ক। প্রথম পশ্চিম সোজা দিকে গিয়ে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ নিকটবর্তী ব্রীজ সড়ক ওভার করে রশিদিয়া সড়ক ওভার করতে হয়। উক্ত শশীভূষন উত্তর বাইপাস সড়কটি পূর্ব-পশ্চিমে কলমীর মোড় টু আব্দুল্যাপুর সড়ক ওভার করে পশ্চিম দিকে বহুদূর পর্যন্ত। লেতরা খালের উপর ব্রীজ না থাকায় শশীভূষন সদরের উত্তর বাইপাস সড়ক (এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের সর্ব দক্ষিণের পূর্ব-পশ্চিম দিক গমনাগমনগামী সরকারী সড়ক বরাবর সড়ক) দিয়ে কলমীর মোড় টু আব্দুল্যাপুর সড়ক ওভার করে পশ্চিম দিকে যাওয়া যায় না। ঐ শশীভূষন সদর উত্তর বাইপাস সড়ক দিয়ে চলার সময় – রশিদিয়া সড়কের দক্ষিনে লেতরা খালের উপর ব্রীজ না থাকায় রশিদিয়া সড়ক দিয়ে শশীভূষন বটতলা সড়ক ভায়া হয়ে শশীভূষন বাজারে আসা-যাওয়া করা যায় না। অর্থাৎ, শশীভূশন উত্তর বাইপাস সড়ক দিয়েও- এওয়াজপুরের রশিদিয়া সড়ক এবং রসুলপুরের বটতলা সড়ক বরাবর লেতরা খালের উপর অতীব প্রয়োজনীয় ব্রীজের অভাবে শশীভূষন বাজারে প্রবেশ করা যায় না। অন্যদিকে শশীভূষন সদরের উত্তর বাইপাস সড়কটি এওয়াজপুরের দুই নং ওয়ার্ডের সর্ব দক্ষিনের পূর্ব-পশ্চিম দিক গমনাগমনগামী সরকারী পাকা সড়ক হলেও এলাকার মানুষ সড়কটিকে ব্যাপক ইভটিজিং করার কারনে ঐ সড়কে পাকা করনের কোন নমুনার চিহ্নও নাই বললে চলে। তাই শশীভূষন সদরের উত্তর বাইপাস সড়কের আশেপাশের এলাকাটিকে ইভটিজিং পাড়া বলা হয়ে থাকে। যারা ইভটিজার তারা অবশ্য উহা স্বীকার করে না। ঐ এলাকার লোকজনের ইভটিজিং এর স্বভাবের কারনে এলাকার টং দোকানে এলাকার উৎপাদিত এক ছড়া পাকা কলাও ন্যায্য দামে বেচা-কেনা করা যায় না। ঐ এলাকায় জাতীয় ফল কাঁঠাল এর পাকা কাঁঠালটিকেও ব্যাপকভাবে ইভটিজিং করার নজির রয়েছে। এলাকার ছোট-বড়-আবাল-বৃদ্ধ বনিতারা দেশের সমাজের রাষ্ট্রের কোন কিছুকে- যেভাবে ইভটিজিং করে ও করতে পারে, সেইভাবে পৃথিবীর আর কোন দেশে কেউই কোন কিছুকে এত বেশি ইভটিজিং করতে পারে না। তাই ঐ এলাকাটির মানুষের আচার ব্যবহার ব্যাপকভাবে ফটকাগিরিতে ভরা। তবে ইভটিজিং-এ সেয়ানা রহিম দোকানদার, মাহমুদ ও জনু আইসক্রিম বিক্রেতা বর্তমানে মৃত হলেও রহিম দোকানদারের দোকানে, রহিম দোকানদারের শিষ্যরা সহ মোস্তফা দেওয়ান, মনির, ওমাইন্যা কামাল, লোকমান, পাকনা ইব্রাহিম (ইবু), আওলাদ নিয়মিত ইভটিজার হিসেবে উপস্থিত থাকে ও বিভিন্ন কিছুকে ইভটিজিং করে। তার (মনিরের দোকানের) পূর্বে নিরবের দোকানে ও মালেক বেপারীর পুত্র সিরাজের দোকানে ওই ইভটিজাররা কম আসে। তবে দোকানের নিকটবর্তী ছোট-বড় সবাই-ই কমবেশী নিয়মিত ইভটিজিং-এ নিয়াজিত থাকে। অনেক সময় দূরবর্তী বাড়ী-ঘর ও এলাকা হতে এসেও অনেককে ঐ দোকানগুলোতে ইভটিজার হতে দেখা গেছে। নিরবের দোকান ও সিরাজের দোকান এর পূর্বে শাহজাহানের দোকান, কামালের দোকান, নুরনবীর দোকান ও সজীবের টং দোকানেও প্রচুর ইভটিজারের সন্ধান মিলেছে। এলাকার ইভটিজাররা ছাড়া দূরবর্তী ইভটিজাররাও সেখানে সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা হলেই ইভটিজিং-এ নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। ঐ এলাকার মহিলাদের খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে যে, এলাকার মহিলারা প্রচুর ইভটিজিং জানে ও এলাকার বিভিন্ন কিছুকে প্রচুর ইভটিজিং করে। শশীভূষন সদর উত্তর বাইপাস সড়ক এলাকার ইভটিজারদেরকে ইভটিজিং এর ডিগ্রি দেওয়ার রেওয়াজ চালু করতে পারলে দেশের যে কোন পন্যই তাদের ইভটিজিং-এর দ্বারা মার্কেটে অচল হবে। ফলে ইভটিজ্ড হওয়া পন্যটি তাদের সামনেই মার্কেট থেকে হারিয়ে যাবে। তাই ঐ এলাকাটিকে শশীভূষন সদর উত্তর ইভটিজিং পাড়া নামে ব্যাপক পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। শশীভূষন সদর হতে ঐ এলাকাটি শশীভূষন খালের দ্বারা ফারাক হওয়ায় শশীভূষন সদরের অভিভাবকরা শশীভূষন সদর উত্তর বাইপাস সড়ক এলাকায় ইভটিজিং সম্পর্কে কোন ধারনাই পায় নাই। তাই এলাকার ইভটিজিং বন্ধ করার জন্য এওয়াজপুরের রশিদিয়া সড়ক ও রসুলপুরের বটতলা সড়ক বরাবর লেতরা খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। যাতে শশীভূষন থানা সদরের উত্তর বাইপাস সড়ক এলাকার সন্ত্রাসবাদ ও অসভ্যতাবাদ দূর হতে পারে। এদিকে কলমীর মোড় টু আব্দুল্যাপুর সড়কে লেতরা খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি সন্ত্রাসবাদের দোষে জনচলাচলে অচল ও অকেজো হওয়ার কারনে শশীভূষন সদর উত্তর বাইপাস সড়ক হয়ে এওয়াজপুরের রশিদিয়া সড়ক ও রসুলপুরের বটতলা সড়ক বরাবর লেতরা খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এছাড়াও শশীভূষন সদর উত্তর বাইপাস সড়ক হয়ে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ ব্রীজ দিয়ে চলাচল ভীষণ বিপদজ্জনক। কারন উক্ত ব্রীজের উত্তর এপ্রোচ অংশে সর্পবাঁক রয়েছে। এবং ব্রীজের দক্ষিনের এপ্রোচ অংশে পাহাড়ি খাড়া ঢালু সড়ক বিদ্যমান। যাহাতে জনপরিবহনের সাথে দুশমনি মাত্রা যোগ করা হয়েছে। উক্ত দুশমনি সড়ক পরিবহন চলাচল মোটেও নিরাপদ নয়। ছবিতে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ সংলগ্ন ব্রীজের উত্তর এপ্রোচ অংশে মালবাহী পরিবহনের ঠেলাঠেলি দূর্ভোগ ও কলমীর মোড় টু আব্দুল্যাপুর সড়কে শশীভূষন খালের উপর নির্মিত ব্রীজের অচল দশা দেখা যায়।
Similar Posts
বগুড়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ঃবাস আটক
বগুড়ায় বাস -ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল হোসেন (৩৫)নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার ভোরে বগুড়া…
ধনী ব্যাক্তিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করানো হত, সমাজের ভয়ে মুখ খোলেননি পরীমণি!
বাংলাদেশি নায়িকা পরীমণি (porimoni)-র হাই সোসাইটি লাইফস্টাইল অনেক আগেই মিডিয়ার নজরে এসেছিল। কারণ ওই ধরনের…
নোয়াখালীর ফের ১টি পৌরসভাও ৬টি ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা সহ ৬ টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা।এলাকাগুলো…
বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, যানজট
বকেয়া বেতন–ভাতার দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গ্রুপের শ্রমিকেরা।…
সুনামগঞ্জে বিমান বন্দর তৈরী করব: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান (এমপি) বলেছেন, আমরা সুনামগঞ্জকে রেলের সঙ্গে সংযোগ করব, সুনামগঞ্জে এসে এটাকে…
বগুড়ায় দুর্ঘটনায় দুই মাসের সন্তানসহ প্রাণ গেল মা–বাবার
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানহাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী, স্ত্রী ও…