ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় পানি নিস্কাশনের ড্রেনের মধ্যেই ২১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে ড্রেন নির্মাণ করায় ভবিষ্যৎ কার্যকরিতা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ বাজারের ডাকবাংলো থেকে সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন ভেদরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত ও একাধিক এরিয়ায় পানি নিস্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ড্রেনের পাশে মোট ২১টি হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক খুঁটি আগে থেকে স্থাপন করা ছিলো। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যকর করতে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি পড়ায় সেখানে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলায় ড্রেনের মাঝখানথেকে খুটি উঠাতে হলে আবারও অধিক ব্যয় ও ড্রেনগুলি ভাংতে হবে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্য নানা চাপা বিরাজ করছে।
জানা গেছে,গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন অবকাঠামো প্রকল্পের কাজটি পেয়েছেন মেসার্স ইয়াসিন হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠান। কোন রকম ঢিলেঢালা ভাবে কাজ করছেন এখানে।নিন্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ হচ্ছে বলেও জানায় স্থানীয়রা ও কতৃপক্ষের নজর দেয়া দরকার বলে জানান তারা। ৩২১ মিটার দৈর্ঘ্যর সর্বমোট ৪২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৭৫ টাকা ব্যয়ে সংস্কার হচ্ছে এ ড্রেনটি।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, ড্রেনের মাঝে এরকমভাবে খুটি থাকলে পানি ও ময়লা ভালভাবে নিষ্কাসন করবে বলে আমার মনে হয় না। ময়লা জমে গিয়ে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই খুটিগুলা সড়িয়ে ড্রেন নির্মাণ করা উচিৎ। এতে ভবিষ্যৎ জণদূর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ পৌরসভা প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান বলেন, ২১ টি খুঁটির স্থান পরিবর্তন করতে গেলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাছাড়া অনেক সময় ও ৪-৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। তাই ড্রেনের মধ্যে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া ইনচার্জের নিকট খুঁটি সরানোর বিষয় আবেদন করবো।
এ বিষয় ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাইলে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কাজ পরিচালনাকারী শাহজাহান মোল্লা বলেন, বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন ঠিকাদার সাইফুলের সাথে কথা বলে নেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয় মেয়র আবুল বাশার চোকাদার বলেন,আমি ডামু্ড্যা, ভেদরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া ইনচার্জের সাথে আলাপ করেছি তারা খুব
শীগ্রই সরিয়ে নিবে বলছে।আপাতত খুঁটিগুলি ভিতরে রেখেই কাজ করতেছি।
এ ব্যাপারে (২৩ মে২০২১)ডামু্ড্যা, ভেদরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সহকারী এরিয়া ইনচার্জ রফিক ওমরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুঁটি সরানোর ব্যাপারে আমাদের নিকট সাবেক মেয়র আঃ মান্নান হাওলাদার ০৯/১১/২০২০ইং একটি জণদুর্ভোগ ও যাতায়াত, যানচলাচল ব্যহত’র কারণে খুঁটি স্থানান্তর করার জন্য অভিযোগ দিয়েছিলো। আমরা জানুয়ারিতে ভেদরগঞ্জ পৌরসভাকে একটি চিঠি দিয়েছি ৫৮ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য।টাকা না জমা দেয়ায় বিষয়টি অনুমোদন হয়নি।নতুন মেয়র এখনো কোন আবদন করেননি। তারা তাদের মতকরে ড্রেন নির্মাণ করছে।
এমতাবস্থায় ড্রেনের মধ্য থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।