বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫% করারোপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার দাবী করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে “প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর অযাচিত ১৫% করারোপের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারের দাবীতে” মানববন্ধনে তিনি এ দাবী করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার যখন বেহাল অবস্থা, ঠিক তখনই ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করে সরকার কাঁটা গায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে। দেশে প্রর্যাপ্ত উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা না থাকার করনে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক বেশি টাকা ব্যয় করে পড়াশোনা করছে। কিন্তু সেখানে সরকারের লোভাতুর দৃষ্টি সচেতন ছাত্র সমাজসহ দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। অযাচিত ১৫ শতাংশ কর আরোপ করার প্রস্তাব ব্যাপক অংশগ্রহণ ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংসের নীলনকশার বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে অবিবেচনাপ্রসূত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল ৬ লক্ষ কোটি টাকার আকাশচুম্বী, উচ্চবিলাসী বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থমন্ত্রী। প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রীক আমলাতান্ত্রিক এই বিপুল পরিমাণ বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অন্য সব কিছুর মতো সরকার বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১৫ শতাংশ কর আদায়ের প্রস্তাব করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কর পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে। দিন শেষে ছাত্ররাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। শিক্ষার ব্যয় কমানোর উপায় না খুঁজে উল্টো কর আরোপের প্রস্তাব অবিবেচনাপ্রসূত। চুরি, দূর্নীতি, অর্থ পাচার বন্ধ করে দেশের শিক্ষার্থী তথা ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাবুন। শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার নোংরা মানসিকতা পরিহার করে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চত পূর্বক অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- ইশা ছাত্র আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোালদার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি আবির হোসেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়রে প্রতিনিধি কাজী রুহীন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ইমরান প্রমুখ।