আমার আব্বা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সর্বপ্রথম পবিত্রহজ্জ পালন করেন ১৯৭২ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম হজ্ব ফ্লাইট ও হজ্ব কাফেলা ছিল সেটি।
এছাড়া আমার আব্বা আল্লামা সাঈদী ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৯, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০২, ২০০৫, ২০০৭ সালে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজ্ব পালন করেছেন। গ্রেফতার হওয়ার আগের বছর ২০০৯ সালেও আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা সাঈদী সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজ্ব পালন করেছেন। রাবেতা আলম আল ইসলামীর আমন্ত্রণেও তিনি ৮ বার হজ্ব পালন করেছেন।
এছাড়া অন্যান্য বছর মিলিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১০ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার পূর্ব পর্যন্ত আল্লামা সাঈদী আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে অসংখ্য পবিত্র হজ্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ৯০ দশক থেকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত একটানা ১৯ বছর আল্লামা সাঈদী প্রত্যেক রমাদান মাসেই পবিত্র হারাম শরীফে ইতেকাফ পালন করেছেন।
তারাবীহ নামাজের জন্য কা’বার সম্মানীত ইমামের পেছনেই দাঁড়াতেন আল্লামা সাঈদী। তাঁর জন্য নামাজের জায়গাটি বলতে গেলে এক প্রকার নির্ধারিতই ছিল। টানা ১৯ বছর একই জায়গায় নামাজ ও ইতিকাফ পালন করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে আজ অবধি জালিমের রোষানলে পড়ে কারাগারে মিথ্যা মামলায় আটক থাকার কারনে ইতেকাফ-তো বহুদূরের কথা ফরজ ইবাদাতও সঠিকভাবে আদায় করতে পারছেন না আল্লামা সাঈদী।
রমাদান মুবারকের এই মাসে রমাদানের শেষ দশকে ইফতারীর পূর্বক্ষণে আসরের ওয়াক্তে দোয়া কবুলের সময়ে আহকামুল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শাহী দরবারে বিনায়াবত মস্তকে আরজ করছি –
ও আল্লাহ !
তোমার গোলামকে যারা বিনা অপরাধে আজ প্রায় ১১টি বছর কারাগারে বন্দী রেখে তোমার ঘর জিয়ারত করা থেকে বঞ্চিত করেছে, তোমার ঘরে বসে ইতেকাফ পালন করা থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদেরকে তুমি তোমার দুনিয়ার সুখ-শান্তি আর অনন্তকালের জান্নাত থেকে বঞ্চিত করো।
[[ ছবিগুলো কাবা শরীফে আল্লামা সাঈদীর তারাবীহের নামাজরত অবস্থার। প্রথম ছবিটাতে দেখুন আল্লামা সাঈদী কাবার সম্মানিত ইমামের পেছনেই নামাজে দাঁড়ানো আছেন। সৌদি টিভি চ্যানেল তারাবীহের নামাজ লাইভ সম্প্রচার করে থাকে। ছবিগুলো সৌদি টিভি থেকে সংগ্রহ করা ]]
Masood Sayedee – মাসুদ সাঈদী