শক্তিশালী জাতীয় ক্রিকেট দল গঠনে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষে খেলুড়ে দেশগুলো থেকে ক্রিকেটারদের নানা লোভনীয় সুবিধা দিচ্ছে তারা। এই সুযোগে সেখানে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা।
গত বছর অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন জানান, নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে খেলতে চান তিনি। এর কিছু দিন পরই পাকিস্তানের সামি আসলামও একই সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি এক সাক্ষৎকারে সামি জানিয়েছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও অনেক ক্রিকেটার আছেন, যারা নিজ দেশ ছাড়তে চান।পাকিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খুব ভালো আছেন বলে জানালেন সামি। তিবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার অনুমতি পেতে তিন বছর লাগবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমি খেলার জন্য বিবেচিত হব।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের দাবি, শতাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে রাজি। সেইসঙ্গে ২০১২ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া উন্মুক্ত চাঁদসহ আরও বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারও যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চায় বলে জানান তিনি।সামি বলেন, শতাধিক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের ফোন পেয়েছি। সবাই খোঁজখবর নিচ্ছেন। এমনকি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমাররাও এখানে আসতে চায়। অনেকেই এখানে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে।
দক্ষ দক্ষ কোচও কাছে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোচও সেখানে আছে বলে জানালেন সামি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের আনতেও কাজ করছে নাকি কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সামি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন চাইছে অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।তিনি বলেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটে দুই বছর হতাশায় ডুবে থাকার পর এখানে খুবই ভালো আছি। গত ৫-৬ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণে পারফর্ম করার পরও নির্বাচকদের উপেক্ষা পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। দলে নেওয়া হলেও দু-এক ম্যাচ খেলিয়ে বাদ দেওয়া হত। কঠিন কন্ডিশনে পারফর্ম করার পরও বাদ পড়েছি। কেউ কেউ আছে, ১০ ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সুযোগ পায়, আমি দুই ম্যাচ খারাপ করলেই বাদ।২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক হয় সামির। সামি পাকিস্তানের হয়ে ১৩ টেস্টে ৭ ফিফটিতে ৩১ দশমিক ৫৮ গড়ে করেছেন ৭৫৮ রান। আর ৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারেই বলার মতো কিছু নেই।সূত্র: রিপাবলিক ওয়াল্ড