টোকিও অলিম্পিক বন্ধে ভিন্ন মাত্রা যোগ করলো জাপানিরা। টোকিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের পাশে ১০০ জাপানি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করেছে। তাদের দাবি অলিম্পিক নয়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষের পিছনে অলিম্পিক আয়োজনের টাকা খরচ করা হোক।
এতদিন বার বার মুখে বুলি আওড়িয়ে লাভ হয়নি। অলিম্পিক বন্ধ করতে অবশেষে মাঠে নেমেছে জাপানিরা। পৃথিবীর বর্তমান যে অবস্থা, প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। সেখানে কোনো খেলা নয়। জীবন বাঁচানোই অত্যাবশ্যক। হাতে উঠেছে প্ল্যাকার্ড। একজন দুজন নয়; ১০০ জন জাপানি আন্দোলনে যোগ দিয়েছে টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের পাশে!জাপানে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১১ হাজার মানুষ। এটা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। তবে সুর্যোদয়ের দেশটিতে আবারো বেড়েছে করোনা। সেজন্য ১১ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এরপরও অলিম্পিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত অনুচিত বলে মনে করেন জাপানিরা।
মাঠে নামা এক জাপানি বলেন, ‘আমি খুব বিস্মিত। মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেও জাপান সরকার অলিম্পিক আয়োজন করছে এবং তারা সিদ্ধান্তে অটল। এটা মোটেও ভালো কোনো ফল বয়ে নিয়ে আসবে না।’জাপানের আরেক নাগরিক বলেন, ‘আমরা খেলা নিয়ে পরে আছি। খেলা আয়োজনে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢালছি। কিন্তু জাপানের কতো মানুষ করোনায় চাকরি হারাচ্ছি। না খেয়ে ঘরে আছে। অনেকে তো বাড়িও হারিয়েছে। সেগুলো না দেখে আমরা খেলা নিয়ে মেতে আছি? এই টাকাগুলো দুঃস্থ ও অনাহারি মানুষদের দিলে তারা বেঁচে থাকতে পারতো।’
দিন যত গড়িয়ে আসছে আয়োজকরা তত আস্থা দিচ্ছেন। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স এর সভাপতি সেবাস্তিয়ান কোয়ে জানান, করোনামুক্ত পরিবেশেই হবে ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিক গেমস ।তিনি বলেন, ‘অলিম্পিকে যারা খেলবে সবাই আমাদের কাছের মানুষ। তারা বিপদে পড়ে এমন কোনো কাজ আমরা করবো না। সবাই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবে। আর আমরা নিরাপদে আসর শেষ করতে পারবো।’এদিকে আয়োজন সফল করতে নিয়মিত কর্তাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসছেন টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কর্তৃপক্ষ।