সার্জিও অ্যাগুয়েরোর পেনাল্টি মিস আর মার্কোস আলোনসোর শেষ মুহূর্তের গোলে লিগ টাইটেল উৎসবের অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হলো ম্যানসিটির। সিটিজেনদের ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রেলার জিতলো লন্ডনের ক্লাব চেলসি। আরেক ম্যাচে সাউদাম্পটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা টিকিয়ে রাখলো লিভারপুল।
অথচ ঘরের মাঠে সবই ছিল প্রস্তুত। ইত্তিহাদের বাইরে জড়ো হয়েছিল সমর্থকরা। ম্যানচেস্টারও এদিন ভাসার কথা ছিলো নীল রঙে। তবুও সব ভেস্তে গেল সিটিজেনদের বহু রূপকথাকে সত্যি করার নায়ক সার্জিও অ্যাগুয়েরোর পানেনকা শটে। ডাগআউটে হতাশ গার্দিওলার রাগী মুখখানা বারবার ভেসে উঠছিল টিভি স্ক্রিনে। এ গোলটি হয়ে গেলেই যে অপেক্ষায় দাঁড়ি টেনে শিরোপা উল্লাসে মাততো ম্যানসিটি।সে আক্ষেপ আরো দীর্ঘ হয় যোগ করা সময়ে মার্কোস আলোনসোর এমন গোলে। যে গোল আরো একটা লাইফ লাইন দেয় দুইয়ে থাকা ম্যান ইউনাইটেডকে। সঙ্গে লেস্টারকে টপকে সেরা তিনে ব্লুজ।
এতো গেলো ম্যাচের মধ্যখান আর শেষের দৃশ্য। শুরুর চিত্রে সিটিজেনদের দাপট। ৪৪ মিনিটে ডি বক্সের জটলায় রহিম স্টারর্লিংয়ের লক্ষ্যভেদ।দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে চেলসিকে সমতায় ফেরান হাকিম জিয়েশ। আর তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন আলোনসো। যে জয় ব্লুদের দিবে ৩০ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সিটির বিপক্ষে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
আকের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ক্ষীণ আশা টিকিয়ে রাখতে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে অ্যানফিল্ডে লিভারপুল খেলে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। দুই উইংয়ে সালাহ-মানে মধ্যখানে জটা।এই ত্রয়ীর সম্মেলিত আক্রমণের ফল লিভারপুল পায় ম্যাচের ত্রিশ মিনিটে। মোহাম্মদ সালার পাসে সাদিও মানের গোল। বাজপাখির মতো তার এমন হেডে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কি-ই-বা করার ছিলো ফস্টারের।বাকিটা সময় সময় সাউদাম্পটন লড়েছে ওই গোলটাই শোধ দিতে। তবে সেটা সম্ভব হয়নি অ্যালিসন বেকারের দৃঢ়তায়। ম্যাচশেষের শেষ মিনিটে ক্লপের হাসি চওড়া হয় থিয়াগো আলকানতারার গোলে। ফলাফল টটেনহ্যামকে টপকে ৬ নম্বরে অলরেড।