Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা!

‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা!

দেশে রসুনকে সাদা সোনা বলা হয়। আর এর প্রয়োজনীতা পুরো বছর জুড়েই রয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবছরও রসুনের ব্যাপক আবাদ করেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষকরা। গত বছর কৃষকরা আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রসুনের অধিক ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে লাভবান হতে পেরেছিলেন। তাই এবছর আরো বেশি জমিতে এর চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলনও পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, এবছর তাড়াশ উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে এই সাদা সোনা তোলা শুরু করেছেন। কৃষকরা প্রতি বিঘায় ২৫-২৬ মণ হারে ফলন পেয়েছেন এবং বাজারে প্রতি মণ ৪০০০-৪৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর প্রথম দিকে রসুনের বেশি দাম পাইনি। তবে মৌসুমের শেষের দিকে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হতে পেরেছিলাম। তাই এবছর আরো বেশি পরিমানে জমিতে চাষ করেছি। চাষে একর প্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘাপ্রতি ২৫-২৬ মণ ফলন পেয়েছি। আশা করছি বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

আরো কৃষকরা জানায়, রসুন চাষে তাদের প্রতি একরে শ্রমিক ও চাষ বাবদ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ তাদের আরো ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে প্রতি একরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তারা ৭০-৭৫ মণ ফলন পেয়ে থাকেন। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ রসুন ৪০০০-৪৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছর তাড়াশ উপজেলায় রসুনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বর্তমান রসুনের বাজার মুল্যও অনেক বেশি। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় রসুন চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।