Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

ঔষধি ফসল চিয়া সিড চাষে সফল মিজানুর!

ঔষধি ফসল চিয়া সিড চাষে সফল মিজানুর!

সুপারফুড খ্যাত ‘চিয়া সিড’ প্রথমবারের মতো পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া কাজীপাড়ায় চাষ হচ্ছে। কৃষক মিজানুর রাহমান এক একর জমিতে এই চিয়া সিড চাষ করেছেন। তিনি প্রথম আবাদেই ভাল ফলনের আশা করছেন।

জানা যায়, কৃষক মিজানুর রাহমান তেঁতুলিয়ার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পরিক্ষামুলক ভাবে চিয়া সিড চাষে সফল হয়েছেন। এক কৃষিবিদের পরামর্শে এই অঞ্চলে তিনিই প্রথম এই ঔষধি ফসল চাষ করেছেন। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও এই ফসল চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মিজানুর রাহমান জমিতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চিয়া গাছ দেখতে কিছুটা তিল কিংবা তিষির গাছের মতো। জমিতে চিয়ার ভালো ফলন হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই ধরেছে ফুল। ফুলে ফুলে উড়ছে মৌমাছি। এর থেকে মধু চাষেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমি আগে আখ চাষ করতাম। একদিন ইক্ষু গবেষণা ইনিস্টিটিউট রাজশাহীর ঈশ্বরদীতে একটি সেমিনারে গিয়ে এক কৃষিবিদের সাথে পরিচিত হই। তিনি আমাকে এই বিদেশি ঔষধি ফসলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানান এবং চাষ করতে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি তিনি আমাকে এক প্যাকেট চিয়া বীজ উপহার দেন। বাড়িতে এসে পরীক্ষামূলক ভাবে বীজ বপন করি। ভালো ফলন পাওয়ায় পরে এক একর জমিতে চাষ করি। লাভবান হতে পারলে আগামীতে আর বেশি জমিতে চাষ করবো।

চিকিৎসকদের মতে, চিয়া সিড মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমায়, রক্তে সুগার স্বাভাবিক রাখে, হাড়ের ক্ষয়রোধ করে, মলাশয় পরিষ্কার রাখে। এটি পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খাওয়া যায়। শরবতে ব্যবহার করা যায়। লেবুর রসের সঙ্গে বা দুগ্ধজাত পদার্থের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চিয়া বীজ বিদেশি একটি ফসল। এটি পুদিনার একটি প্রজাতি। বছরের নভেম্বরের ও ডিসেম্বরের মধ্যে বীজ বপন করলে মার্চ বা এপ্রিলে ফলন তোলা যায়। শুধু মাত্র জৈব সার ব্যাবহারে চাষ করা যায়। বাজারে প্রতি কেজি বীজ ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে আগ্রহী চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।