আসল জাতের সোনালি মুরগি চেনার উপায় আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ সোনালি মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। সোনালি মুরগি পালন করার জন্য আসল জাতের সোনালি মুরগি চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সোনালি মুরগি পালন করার মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আবার অনেকেই সোনালি মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। সোনালি মুরগি পালনের জন্য এর সঠিক জাত সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী। আসুন আজ জেনে নেই আসল জাতের সোনালি মুরগি চেনার উপায় সম্পর্কে-
আসল জাতের সোনালি মুরগি চেনার উপায়ঃ
যেসব বৈশিষ্ট্য দেখে আসল সোনালি মুরগি চেনা যায় সেগুলো নিচে দেওয়া হল-
১। শরীরের রঙের দিক থেকে সোনালি জাতের মোরগের গায়ের রং সাধারণত সোনালি রঙের সাথে কালো রং মিশ্রিত থাকে। আর সোনালি রঙের মুরগির গায়ের রং সাধারণত হলুদ কালো হয়ে থাকে। এছাড়াও স্থান ও পরিবেশভেদে সোনালি মুরগির গায়ের রং বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে।
২। সোনালি মুরগির শরীরের গঠন সাধারণত মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। সোনালি মুরগি সাধারণত অনেক বড় আকারের হয় না। সোনালি মুরগিগুলো মাঝারি আকারের হলেও শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী।
৩। ডিম দেখেও সোনালি মুরগির আসল জাত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আসল জাতের সোনালি মুরগির ডিমের খোসার রং সাধারণত ক্রিম বর্ণের হয়ে থাকে। ডিমের এমন রং দেখেও আসল জাতের সোনালি মুরগি সহজেই চেনা যায়।
৪। আসল জাতের সোনালি মুরগি বেশ চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। কোন প্রকার বিপদ দেখলেই এই জাতের মুরগিগুলো সজাগ হয়ে ওঠে। কোন শত্রুর আক্রমণ হলে এই জাতের মুরগিগুলোও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করে।
৫। একটি পূর্ণ বয়স্ক সোনালি মুরগির ওজন ১ থেকে ১.৫ কেজি এবং একটি পূর্ণ বয়স্ক সোনালি জাতের মোরগের ওজন ২ থেকে ২.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমন ওজন দেখেও আসল জাতের সোনালি মুরগি সহজেই চেনা যায়।
৬। ডিম উৎপাদনের সক্ষমতা দেখেও আসল জাতের সোনালি মুরগি চেনা যায়। একটি আসল জাতের সোনালি মুরগি বছরে প্রায় ২০০ থেকে ২২০টি ডিম দিয়ে থাকে।
৭। আসল জাতের সোনালি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। তাই আসল জাতের সোনালি মুরগিগুলোর রোগ অনেক কম হয়ে থাকে। আর সেজন্য এই জাতের মুরগি পালনে ওষুধের জন্য খরচও অনেক কম হয়ে থাকে।