Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা!

মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা!

চলতি মৌসুমে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মিষ্টি আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাহিদা ভালো থাকায় আলু খেত থেকে উত্তোলন করে সেখানেই বিক্রি করতে পারছেন। ফলনের পাশাপাশি ভালো বাজারদর পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

জানা যায়, সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ও কামরাবাদ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। এই দুই ইউনিয়নে মোট ৭ টি গ্রাম রয়েছে। প্রতিটি গ্রাম মিলে মোট ৩০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। কৃষকরা প্রতি শতক জমিতে তিন মণ আলু উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি মণ আলু ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন মিষ্টি আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

কামরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আগে আমরা জমিতে ইরি, বোরো, আউশ ধানের আবাদ করতাম। তবে এখন ধান আবাদে খরচের তুলনায় উৎপাদন কম। তাই মিষ্টি আলু আবাদ করছি। এতে খরচ কম। ফসলও বেশি পাওয়া যায়। তাই এবার ধানের আবাদ না করে মিষ্টি আলু আবাদ করছি।

কান্দারপাড়া গ্রামের কৃষক জিলানী মিয়া বলেন, চলতি বছর আমি ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। চাষে আমার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২৫০ মণ ফসল পেয়েছি। প্রতি মণ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার বেশি লাভ হয়েছে।

কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার ১১০ শতক জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় ২০০ মণ ফসল পেয়েছি। বাজারদর ভালো পেয়ে লাভবান হচ্ছি।

কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, আমার ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। আলু আবাদ লাভজনক হওয়ায় ধানের পরিবর্তে কৃষক দিন দিন আলু আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি মৌসুমে সরিষাবাড়ীতে মিষ্টি আলুর খুব ভালো ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু আবাদে সার কম লাগে, খরচও কম হয়, এবং ফসল বেশি উৎপাদন হয়। দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।