Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

তরমুজের দ্বিগুণ দামে খুশি চাষিরা

তরমুজের দ্বিগুণ দামে খুশি চাষিরা

আগাম চাষ হওয়ায় মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বসেছে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের হাট। পাইকারি বাজারে বড় তরমুজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে আগাম স্বাদ নিতে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জানা যায়, বসন্তের শুরুতেই মুন্সিগঞ্জের হাটে তরমুজের সরবরাহ হয়েছে। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরের ধলেশ্বরী তীরের হাট ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরীত। গ্রীষ্মকালীন পানি জাতিয় এই ফলটির পসরা বসেছে এই হাটে। নিলামে পাইকারি তরমুজ কিনতে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ভিড় করছেন। হাটে তরমুজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় পাইকারি দরে ছোট তরমুজ ৪০ ও বড় ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে ১০০-১২০ টাকা দাম পড়ছে। এতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্রেতারা বলেন, এবছর তরমুজের ফলন বেশি হয়েছে। তবে বিক্রেতারা অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকারের নজরদারি বাড়ানোর দাবি করছেন তারা।

আরো পড়ুন : ডাব বেগুন চাষে লাভবান কুমিল্লার কৃষকরা!

বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সকল জিনিসের পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তাই দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনতেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়তদাররা বলেন, ধলেশ্বরী তীরের এই হাটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২০ হাজার তরমুজ আসে। এতে হাটে প্রায় ২০ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকতা রনি দাস বলেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। এতে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বৈশম্য সৃষ্টি করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। আমরা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি।