প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ফলাফল ঘোষণের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সচল হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রাথমিক সমাপনী বৃত্তির পরীক্ষার রেজাল্টসহ সমমানের সকল পরীক্ষায় ফলাফল আমরা খুব সহজেই দেখে নিতে পারি। রেজাল্ট প্রকাশিত হয় একটি লিঙ্ক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত নির্দিষ্ট লিঙ্কে প্রবেশ করে সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আমরা আমাদের ফলাফলটি বের করে নিতে পারি। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে রোল নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে সাবমিট করলে ফলাফল পাওয়া যায় খুব সহজে। এটি একটি খুব সহজ এবং দ্রুতএকটি মাধ্যম। এভাবে ঘরে বসেই খুব সহজে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল জেনে করে যায়।
৫ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
আগেকার দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা ফলাফল প্রকাশের পর তৎক্ষণাৎ ফলাফল জানতে পারত না। তারা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করত। তারপর ফলাফল প্রকাশিত হলে উক্ত ফলাফলের তালিকা সকল প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতো। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দ্বারা অথবা তালিকা আকারে ফলাফলের লিস্ট ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে লম্বা প্রসেসের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা ফলাফল জানতে পারত। ফলাফল প্রকাশিত হবার এক দুই দিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সুখবর পৌঁছাতে। কিন্তু এখন ঘরে বসেই ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে সকল ছাত্র ছাত্রীর কাছে পৌঁছে যায়।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় জিপিএ এবং সিজিপিএ গ্রেডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জিপিএ ফাইভ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি হয় এবং তার পরিবারেরও গর্ববোধ করে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত জিপিএ দ্বারা ফলাফল নির্বাচন করা হয়। তারপর উচ্চশিক্ষায় সিজিপিএ দ্বারা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গতকাল প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষিত হওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী সারা দেশের ৮৩ হাজার ছাত্রছাত্রী বৃত্তির ফলাফল পেয়েছে। তারা তাদের খুশিটা উদযাপন করার আগেই তাদের রেজাল্ট বাতিল করে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল টি বাতিল ঘোষণা সত্যিই একটি অত্যন্ত খারাপ সংবাদ। এর জন্য অনেক ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবার ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ ডাউনলোড
কিন্তু দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই আজ রাতে নির্ধারিত ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাবে এবং পরীক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য ফলাফল পেয়ে যাবে। পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করা হয়েছে বলে কোন পরীক্ষার্থী বন্ধুরা ভয় পাবে না। দুশ্চিন্তা করবে না। তুমি যদি ভালো পরীক্ষা দিয়ে থাকো তুমি যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো তাহলে নিশ্চয়ই ট্যালেন্টপুল অথবা সাধারণ গেটে বৃত্তি পেয়ে যাবে। প্রতিবছর সারা বাংলাদেশে প্রায় লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি পরীক্ষায় বসেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় পাশের হার এখন ৯০%।
জিপিএ ৫ পেয়ে থাকে প্রতিবছর 80 পার্সেন্ট ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে যাদের মার্কস অনেক বেশি থাকে তারা সাধারণ এবং ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়ে থাকে। যাদের মার্কস ৯০% এর মধ্যে থাকে তারা সাধারণ গেটে বৃত্তি পায়। আর যারা ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, যাদের মার্কস ৯৫ শতাংশ থেকে ১০০%
তারা ট্যালেন্ট পরলে বৃত্তি পায়।
প্রতিবছর এভাবেই বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যেহেতু বিগত কিছু বছর ধরে সমাপনী বৃত্তি পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছিল। সেজন্য কারিগরি ত্রুটির কারণে দুর্নীতি দমন এর লক্ষ্যে প্রকাশিত রেজাল্টটি ঘোষণা করার পরও বাতিল করা হয়েছে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কর্তৃপক্ষ এই ভুল সংশোধনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং খুব শীঘ্রই সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্ট টি পুনরায় প্রকাশ করা হবে।
গতকালের রেজাল্ট বাতিল করার পেছনে নিশ্চয় ই কোন গুরুতর কারণ রয়েছে। এজন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং সমস্যার সমাধান বের করে শীঘ্রই সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তি রেজাল্ট প্রকাশিত হবে।