জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরির চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক নাজমুল হোসেন। বর্তমানে তিনি তার জমির উৎপাদিত স্ট্রবেরি বিক্রি শুরু করেছেন। চলতি বছর ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
জানা যায়, কৃষক নাজমুল হোসেন জয়পুরহাটে জেলার দেবরাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অন্যান্য ফসল চাষ করে তেমন সফলতা পাননি। তাই স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ২ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরির চাষ করেন। বর্তমানে তিনি তার জমি থেকেই বিক্রি করতে পারছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে বাগান থেকে স্ট্রবেরি নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। আশা করছেন ৫ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবেন। নাজমুল হোসেনের স্ট্রবেরি চাষে সফলতা দেখে আশেপাশের অনেকেই স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক নাজমুল বলেন, আমি স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ২ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। তিন মাসের ফসল হিসেবে খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। বর্তমানে বাগান থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ কেজি স্ট্রবেরি তুলে বাজারে বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে বাগান থেকেই স্ট্রবেরি নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় সাইজ অনুযায়ী ৪০০-৫০০ টাকা। মার্চ মাস পুরোটা স্ট্রবেরি বিক্রি হবে। আশা করছি ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করতে পারবো।
জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন শাহিন বলেন, আমরা কৃষকদের আমাদের কৃষি ইউনিটের আওতায় এনে উন্নত জাতের বীজ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, স্ট্রবেরি একটি অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল। চলতি বছর জয়পুরহাট জেলায় সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গুলোর কারিগরি সহায়তায় এবার ১০ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। চাষিরা স্ট্রবেরি চাষ করে পরিবারে পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রিতে লাভবান হচ্ছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।