Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

সাড়ে ১৮ লাখে বিক্রি হলো ২টি মাছ!

সাড়ে ১৮ লাখে বিক্রি হলো ২টি মাছ!

বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে সাড়ে ৬৩ কেজি ওজনের একজোড়া বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক ভোল মাছ ধরা পড়েছে। মাছগুলো দুবলার চরের মাছের আড়তে নিয়ে আসা হলে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সাগরে মাছ ধরতে গেলে জেলে ফারুক হোসেনের জালে দুটি বড় আকারের বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোলমাছ ধরা পড়ে। মাছদুটি ধরার পর তিনি শেষ রাতে দুবলার চরের মাছের আড়তে নিয়ে আসেন। মাছগুলোকে একনজরে দেখতে অনেক লোকজন ভিড় করে। মোংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিন নিলামে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম দিয়ে মাছদুটি কিনে নেন।

জেলে ফারুক হোসেন বলেন, আমি ও আমার সাথিরা গত বৃহস্পতিবার রাতে সাগরে জাল ফেলতে যাই। গত কয়েকদিন যাবত তেমন কোনো বড়মাছ পাইনি। শেষ রাতের দিকে এই মাছদুটি  জালে আটকায়। পরে মাছগুলো দুবলার চরের মাছের আড়তে নিয়ে আসি এবং সেখানে নিলামে তুলি। নিলামে মোংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিনের কাছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করি।

আরো পড়ুন : বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির মাছ!

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, সামুদ্রিক এ মাছগুলো সবসময় পাওয়া যায়না। ফারুক খুব ভাগ্য ভালো বলেই তার জালে মূল্যবান এ মাছগুলো ধরা পড়েছে। বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক এ মাছদুটির প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা। সঠিক পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। মাছের মূল্য থেকে এর মধ্যে বিশেষ ধরণের ফুলকী আছে। যার প্রতিকেজি মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। এ ধরণের মাছ যেমন- দাতিনা, কইয়া ভোল, দাতিনা ভোল, লাল ভোল ও জাবা মাছের ফুলকী খুবই মূল্যবান।

মোংলা মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, বিরল প্রজাতির এই মাছগুলো খুব একটা পাওয়া যায় না। সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে আগে দু-একটি মাছ পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া দুষ্কর। এই মাছের থেকে এর মধ্যে থাকা বিশেষ ফুলকী বা প্যাঁটা ও বালিশের কারণে দাম বেশি হয়। শুনেছি এই মাছের ফুলকী ও বালিশ বিদেশে রপ্তানি হয় এবং তা দিয়ে ঔষধ তৈরি করা হয়।