চলতি মৌসুমে সজিনা ডাটার দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। মেহেরপুর একটি কৃষি নির্ভর অঞ্চল। এখানে সব ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। তবে সব সবজির থেকে পুষ্টিগুণে ভরা সজনে ডাটার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। এ অঞ্চলে সজনে ডাটা খুব জনপ্রিয়, এর কদরও বেশি।
জানা যায়, এখন মেহেরপুরের বাজারে মৌসুমী নতুন সজনে ডাটা উঠছে। বিক্রেতারা প্রতিকেজি ডাটার দাম ৫০০ টাকা চাচ্ছেন। সজনের ডাটার ক্ষেত্রে তা আকাশচুম্বি বলা যেতে পারে। দাম বেশি হলেও ক্রেতারা নতুন ডাটার স্বাদ নিতে এই দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে দাম কম হলে আরো বেশি পরিমানে কিনে নিতে পারতেন বলে জানান ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের মতে, সজনে ডাটা বাজারে নতুন সবজি হওয়ায় তুলনামূলক দাম বেশি। তবে ধীরে ধীরে দাম কমে যাবে।
বামন্দী সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা ইয়ার আলী বলেন, অনেকদিন যাবত সজনে ডাটা খাই না। বাজারে এই সবজি দেখতে পেয়ে আধা কেজি কিনলাম। আমার কাছ থেকে ২৫০ টাকা রাখলো। একসময়ে এই ডাটা ১০ টাকা কেজি কিনে খেয়েছি। আর এখন ৫০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি হলেও নতুন সবজির স্বাদ নিতে কিনে নিয়েছি।
আরো পড়ুন : বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কৃষকরা!
আরেক ক্রেতা মারফত আলী বলেন, বাজারে সজনে ডাটা দেখতে পেয়ে খুশি হয়ে দাম জিজ্ঞেস করলাম। বিক্রেতারা ৫০০ টাকা কেজি বললেন। দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিনতে পারিনি। পরে দাম কমলে কিনবো।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের কয়েকজন সজনে ডাটা বিক্রেতারা বলেন, এখন বাজারে নতুন ডাটা শুরু করেছে। আমরা বেশি দামে গাছ মালিকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে আসছি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে নতুন সবজি হওয়ায় এর স্বাদ নিতে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েই কিনছেন।
মেহেরপুর কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, এক সময় গ্রামের সব বাড়িতেই এই সবজির গাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে এর ফলন অনেক কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ হচ্ছে। আশা করছি উৎপাদন বাড়লে দাম কমে আসবে।