কম খরচে বেশি উৎপাদন ও লাভ হওয়ায় লেবু চাষে ঝুঁকছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাষিরা। ফলনের পাশাপাশি বাজারদর ভালো পাওয়ায় দিন দিন এই জেলায় লেবুর চাষ বাড়ছে। এতে অধিক দামে বাজারে বিক্রি করে খুশি চাষিরা।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাধারণত পাঁচ জাতের লেবু চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কাগজি লেবু, পাতি লেবু, এলাচি লেবু, বাতাবি লেবু ও নতুন জাতের হাইব্রিড সিডলেস লেবু রয়েছে। কাগজি লেবুর চাহিদাও ভালো। এছাড়া অন্যান্য লেবুরও ভালো চাহিদা রয়েছে। লেবু চাষে তুলনা মূলক পানি সেচ তেমন একটা লাগে না। সার, পরিচর্যা ও শ্রমিক খরচ খুবই কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে লেবুর চাষ। উৎপাদিত লেবুর ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
আখাউড়ার লেবু চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে সিডলেস ও দেশীয় জাতের লেবু আবাদ করেছি। এখান থেকে প্রায় সারা বছরই লেবু বিক্রি করতে পারি। বাজারে দাম ভালো থাকায় এখন দৈনিক ৪ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে নিতে হয় না। বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা বাগান থেকেই লেবু কিনে নিয়ে যান। এবার লেবুর ভালো দাম পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।
বিজয়নগরের লেবু চাষি মো. আক্কাছ আলী বলেন, আমি বাড়িসংলগ্ন পতিত জমিতে সিডলেস ও দেশীয় জাতের লেবু চাষ করেছি। একদিন পরপর ২ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারি।
কসবার লেবু চাষি নাছির মিয়া বলেন, এবার লেবুর বাজারদর ভালো। চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন বলেন, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘সি’। এছাড়া লেবুর পানি দেহে প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে। আমরা কৃষকদের লেবু চাষের কলাকৌশল সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি।