Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

মাছ চাষে স্বাবলম্বী খাগড়াছড়ির ১৮ নারী উদ্যোক্তা!


মাছ চাষে স্বাবলম্বী খাগড়াছড়ির ১৮ নারী উদ্যোক্তা!

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের জামতলী গ্রামের নারীরা মাছ চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছ চাষের পাশাপাশি তারা মাছের পোনাও উৎপাদন করেন। ১৮ জন গৃহিনী নারীসহ মোট ২০ জন নিয়ে গঠিত সমিতির সবাই মাছ চাষ করেন। তাদের মাছ চাষে সফল হতে দেখে অন্য নারীরাও মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে ৬০ শতকের একটি পুকুরে কার্প জাতিয় মাছ চাষ করা শুরু করেন রূপসা চাকমা। গুনগত মাছের পোনা উৎপাদন করে প্রথম বছরই সফল হয়েছেন তিনি। গ্রামের আরো ২০ জনকে নিয়ে সমবায় সমিতি করেন এবং সবাইকে উন্নত মাছ চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পোনা উৎপাদন ও মাছ চাষ করে সবার বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকারও বেশি। মাছ চাষ করে তারা গত বছর ১১ মেট্রিক টন মাছ ও ৭০০ কেজি মাছের পোনা উৎপাদন করেছেন।

মাছ চাষি রূপসা চাকমা বলেন, সংসারের হাল অবস্থা খারাপ ছিল। তা থেকে বের হয়ে আসতে ২০১৬ সালে আমি মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নেই। তারপর ৬০ শতকের একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করি। প্রথমে কার্প জাতিয় মাছ চাষ করি। পাশাপাশি পোনা উৎপাদন করে থাকি। পোনা উৎপাদন ও মাছ চাষ করে আমার বছরে লাখ টাকার মতো আয় হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমিতির বাকিরাও মাছ চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করেছেন। আমাদের মাছ চাষে সফল হতে দেখে অন্য নারীরাও মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

মাছ চাষি তাপসী চাকমা বলেন, মৎস্য বিভাগ থেকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আমিও মাছ চাষ শুরু করি। আমিও সমিতির একজন সদস্য। মাছ চাষ ও পোনা উৎপাদন করে বছরে লাখ টাকা আয় করছি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমিতি করে দেওয়ার আগে মাছ চাষ সম্পর্কে তাদের তেমন ধারনা ছিল না। মৎস্য বিভাগ তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। প্রশিক্ষণের পর মাছ চাষ করার জন্য তাদের প্রদর্শনী খামার দেওয়া হয়েছে। তাদের আরো সহযোগীতার প্রয়োজন হলে মৎস্য বিভাগ তাদের সকল ধরনের পরামর্শ ও সাহায্য করবে।



Source link