বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৃষক শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য সকল চাষিরা টমেটো চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমিতে কৃষকের পরিচর্যার ফল হিসেবে এই ফলন পেয়েছেন বলে জানা যায়। কৃষকরা লাখ টাকার টমেটো বিক্রির আশা করছেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টমেটাসহ অন্যান্য সবজিরও ভালো ফলন হয়েছে। এই উপজেলায় অনেক কৃষক টমেটো চাষে সফল হয়েছেন। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি টমেটোর বাজারদর ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য কৃষকদের জমিতে কাঁচা-পাকা টমেটো ভরে রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই জমি থেকে টমেটো বিক্রি শুরু হয়। পাইকাররা জমি থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গত দুই সপ্তাহ আগে প্রতি মণ টমেটো ২৫০০-২৮০০ টাকা বিক্রি হলেও তা বর্তমান বাজারে ১৬০০-১৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দাম এমন থাকলে কৃষকরা দ্বিগুণ লাভবান হতে পারবেন।
কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এবছর আমি ১৬ শতক জমিতে টমেটোর চাষ করেছি। টমেটো চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সার পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে জমিতে টমেটোর ভালো ফলন হওয়ায় সব ভূলে গেছি। আশা করছি প্রায় ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।
পারধুনট গ্রামের টমেটো চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে টমেটার চাষ করেছি। গত দুই সপ্তাহ আগে ২৫০০ টাকা মণ দরে ১০ মণ টমেটো বিক্রি করেছি। এখন ধীরে ধীর বাজারদর কমে যাচ্ছে। গত বছর এই জমি থেকে ২ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। আশা করছি বাজারদর স্বাভাবিক থাকলে এবছরও ২ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।
চৌকিবাড়ী গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, এবছর টমেটো চাষে এখন পর্যন্ত কোনো রোগবালাই হয়নি। নিয়মিত পরিচর্যা করায় এমনটা হয়েছে। এতে ফলনও বেশি হয়েছে। আশা করছি লাভবান হবো।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ও কৃষকের পরিশ্রমের কারণে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি টমেটো বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে।