Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

পলাশবাড়িতে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম!


পলাশবাড়িতে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম!

সাভারের পলাশবাড়ি পাইকারি মৎস্য আড়তে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত মাছের দাম বেড়েছে। শীতের ভোরেও জমে উঠা সাভার পাইকারি মৎস্য আড়তে মানুষের ভীড় থাকলেও দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা।

জানা যায়, পলাশবাড়ী মৎস্য আড়তে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।

সাভারের পলাশবাড়ীর মৎস্য আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই স্থানীয় নদী-নালাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে আড়তে জড় হন। অন্যান্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনগুলোতে মানুষের প্রচুর ভীড় থাকে। সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ দাম বেড়ে যাওয়ায় কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।

পলাশবাড়ি মৎস্য আড়তে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ৯০-১০০ টাকা, রুই ১৪০-২৫০ টাকা, সরপুঁটি ১০০-১১০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩০০ টাকা, শিং ২৮০-৫০০ টাকা, দেশী পুঁটি ১২০-১৩৫ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১০০০-১৩০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৬০০-৯০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের বড় ইলিশ ২৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, কাতল ২৫০-২৮০ টাকা, বাইলা ৫০০-৫৮০ টাকা, মলাঢেলা ১১০-৩৫০ টাকা, সামুদ্রিক মাছ কলম্ব ২০০-২১০ টাকা, সুরমা ২২৫-২৩০ টাকা, রিটা মাছ ১৬০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম এমনিতেই বেশি। তারপর গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম আরো ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের মতো সাধারন মানুষের মাছ কিনে খেতে কষ্ট হচ্ছে।

পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, আমরা আড়ত থেকে পাইকারি দরে মাছ কিনে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিক্রি করবো। মাছের দাম প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। মাছের দাম বাড়লে মানুষ বেশি মাছ কিনতে চায় না। আমরা দাম অনুযায়ী মাছ বিক্রি করি। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারি না।

এদিকে, আড়তদাররা বলছেন, সরকারি ছুটির দিনে বাজারে খুচরা ক্রেতারা ভিড় জমায়, ফলে যে পরিমাণ মাছের প্রয়োজন সে পরিমাণ সরবরাহ নেই। এতে প্রায় সব মাছেই ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।



Source link