হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শাহজাহান মিয়া মৌসুমী শাক-সবজি চাষে লাভবান হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উর্বর। তাই শাক-সবজির অধিক ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে তিনি লাল শাক ও পালং শাক চাষে করেছেন। তার সবজি চাষে উচ্চ ফলন ও সফলতা দেখে অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, শাহজাহান মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই মৌসুমে তিনি ১০ শতাংশ জমিতে লাল শাক ও পালং শাক চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি সারা বছরই মৌসুমী শাক-সবজির চাষ করে থাকেন। এতে নিজের সবজির চাহিদা পূরণ করে সবজি বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। মৌসুমী সবজি চাষে তার এমন সাফল্য দেখে অনেকেই সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।
শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি সারাবছরের সব মৌসুমেরই বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করি। এবছর লাল শাক ও পালং শাকের পাশাপাশি কচু, ডাটা ও বরবটির চাষ করেছি। সব জাতের সবজিরই ভালো ফলন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ১০ শতক জমিতে লাল শাক ও পালং শাকের চাষ করেছি। শাক চাষে সার ও বীজ মিলে ১ হাজার টাকা খরচ হয়। ইতোমধ্যে ৮ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরো ৯ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবো। ৯ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলে শাক চাষে আমার ৯গুণ লাভ হবে।
লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা শাহজাহানকে সব ধরনের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করে আসছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, শাক-সবজির চাষ অত্যন্ত লাভজনক। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন কৃষকরা শাক-সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে আসছে। আশা করছি সবজির চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।