Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

বরগুনায় ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা!


বরগুনায় ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা!

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ ধরতে গেলে খালি হাতে ফিরছেন বরগুনার জেলেরা। এতে খরচের টাকারও উঠাতে না পেরে তারা হতাশ। ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের পরিমানও কম।

জানা যায়, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেয়ে হতাশায় ব্যবসায়ীরাও। ইলিশ এখন জেলেদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত ১০-১২ দিন সাগরে মাছ শিকার করার পরও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না তারা। অন্যান্য মাছ এতো কম পরিমানে পাচ্ছেন যে তা বিক্রি করে খরচ উঠছে না। এ অবস্থা চললে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি হবে বলে জানান অবতরণকেন্দ্রের কর্মকর্তারা।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ছোট ইলিশ প্রতি মণ ১৮-২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ হাজার টাকা দরে। এছাড়া আকারভেদে পোয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৪০০ টাকায় আর চন্দনা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-১৬০ টাকায়।

এক জেলে বলেন. সাগরে আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছিনা। অন্য যে মাছ পাচ্ছি তাতে খরচের টাকাও উঠছে না। এ অবস্থায় আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এখন আমাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন বলেন, এই জেলেদের জন্য সরকারের বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত। ঋণ বা চিকিৎসা ভাতা বা সন্তানদের স্কুলে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দিলে তারা কিছুটা স্বচ্ছল অবস্থায় আসতে পারে।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের বিপণন কর্মকর্তা মো. রিপন হোসেন বলেন, জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। বর্তমানে অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের পরিমাণ খুবই কম। পরিস্থিতি এভাবে বহাল থাকলে ইলিশ অবতরণে ঘাটতির পাশাপাশি রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি পড়বে। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে বিক্রিত মাছের দামের শতকরা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করা হয়।



Source link

Leave a Reply