ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে মুক্তির উপায়
ত্বকের যত্ন নেয়ার আগে আমাদের ত্বক সম্পর্কে আগে কিছু কথা জেনে নিতে হবে । আমাদের ত্বক মূলত চার ধরনেরঃ স্বাভাবিক , শুষ্ক, তৈলাক্ত, ও মিশ্র ত্বক । এরই মধ্যে একটি অর্থাৎ “শুষ্ক ত্বক” সম্পর্কে আজকের এই আলোচনা ।
Table Of Contents
মূলত, পানিশুন্যতা থেকেই ত্বকের শুষ্কতা সৃষ্টি হয় । শরীরে পানির অভাব থেকে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়তে পারে আমাদের ত্বকেও। পানিশূন্য ত্বকের প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে ত্বকে চুলকানি হওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, এবং ত্বকের উপরিভাগে হালকা সাদা সাদা রেখা দেখা দেওয়া। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য অনেকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে ত্বকে কোনো রকম সুফল না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় অবশ্যই আছে । নিচের কাজগুলো করলে আপনার ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে রেহাই পেতে পারে ।
ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে মুক্তির উপায়ঃ
- সবচাইতে জরুরী হলো “হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম” ব্যবহার করা , কারণ, এটি ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে।
- চা,.কফি পান করা কমাতে হবে , কারণ , এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক ও কালো করে তোলার জন্য প্রধানত দায়ী ।
- হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
- পানির আধিক্য রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
- প্রতিদিন অল্প হলে ও সাধারণ ব্যায়াম করতে হবে।
- এরপর ও যাঁদের ত্বকের পানিশূন্যতা বেশি বা অন্য কোনো কিছুতে পানিশূন্যতা দূর হচ্ছে না, তারা চাইলে একটি বিশেষ ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন যা তৈরি করতে পারেন ঘরে বসেই ।
বিশেষ ফেসমাস্ক তৈরির পদ্ধতিঃ
- প্রথমে পরিমাণ মতো শশা গ্রাইন্ড করে নিন ।
- গ্রাইন্ড করা শশার সাথে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল, টক দই, মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।
- এরপর হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
- সবশেষে হাইড্রেটিং ক্রিম লাগাতে হবে। দুই ধরনের হাইড্রেটিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন , একটি হলো উইমেন’স ওয়ার্ল্ডের “অ্যালো” ক্রিম এবং অপরটি হলো “ওলে অ্যাকটিভ হাইড্রেটিং” ক্রিম।
হয়তো ভাবতে পারেন , ত্বকের শুষ্কতায় কি ই বা এমন এসে যায় ? কিন্তু মনে রাখতে হবে যে স্কিন হাইড্রেটেড রাখা আমাদের শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শরীরে পানি কমে গেলে ত্বকও পানিশূন্য হয়ে পরে এবং শারীরবৃত্তীয় কাজগুলোও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। শরীর ক্লান্ত লাগে, ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ত্বকের স্বাভাবিক কাজও সম্পন্ন হয় না, যেমন ত্বকের নতুন কোষ তৈরি হয় না। মৃত কোষ জমে গিয়ে ত্বকের লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
তাই প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। সাথে উপরে বর্ণিত উপায়গুলো অনুসরণ করলে আশাকরি আপনার ত্বক অবশ্যই স্বাভাবিক এবং কোমল লাবণ্যময় থাকবে ।