Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

জেনে নিন , ডিমের যত গুণ


ছোট বড় প্রায় সবাই ডিম খেতে পছন্দ করেন , কিন্তু  ডিম খাওয়ার উপকারিতা বা অপকারিতা কী আপনি জানেন?

আসুন, জেনে নেওয়া যাক ।

 ধারণা করা হয়, যাঁদের হার্ট এর কোন রোগ  রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর, কেননা, ডিমের কুসুমে অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে । কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে , ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টরেল পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না।

উপরন্তু ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, কোলিন, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে। কুসুমসহ ডিম ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী ।  

গর্ভবতী মা, শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও   ডিম খাওয়া উপকারি। তবে , ডিম খাওয়ার পরে একটু সতর্ক থাকতে হবে , কেননা, বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের সঙ্গে এমন অনেক খাবার ,যেমন, কলা, মধু, লেবু, টক দই ইত্যাদি ভুলেও খাবেন না ডিম খাওয়ার পরে। এতে বিপদের ঝুঁকি থাকে । 

স্বাস্থ্যবিদদের মতে, ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হল ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া।বেশিরভাগ পুষ্টিবিদদের মতে,  ডিমের ওমলেট না করে খাবার পরামর্শ দেন কারণ ডিম যে তেলে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

যাইহোক,  কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিমও পুষ্টিযুক্ত, জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা ওজন ঠিক রাখতে চায় কিংবা বাড়াতে না চায় তাদের ডিম পোচ না খাওয়া ভালো। আর ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

শিশুদের জন্য ডিম পোচ ভালো। ডিম খাওয়ার অরুচি হলে ডিমের কারি রান্না করে ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন। ওমলেট ও সেদ্ধ ডিমেও আছে অনেক গুণ, যেমন,  ওমলেট এ রয়েছে ৯০% ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১০% ফসফরাস  সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ % ক্যালরি, ৬.৩% গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩% গ্রাম ফ্যাট, ০.৬% গ্রাম কার্বহাইড্রেট, ১.৬% গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১২.১০% ভিটামিন ‘বি’, ৯% ফসফরাস ।

সুতরাং সামান্যকিছু ক্ষেত্র ব্যতীত বাকি সবাই সবসময় খেতে পারেন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ডিম । 





Source link

Leave a Reply