বিরিয়ানি খেতে কে না পছন্দ করে ? বাঙালীর জিভে জল এসে যায় বিরিয়ানীর নাম শুনলে । তাই ভোজনপ্রিয় মানুষদের জন্য আজকে আমাদের এই লোভনীয় মাটন দম বিরিয়ানীর রেসিপি । আশা করছি সবার ভালো লাগবে খেতে ।
যা যা লাগবেঃ খাসির মাংস ২ কেজি (হাড়সহ, মাঝারি টুকরো,), বাসমতি চাল ১ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, দারচিনি ৩-৪টি, সবুজ এলাচ ৮-১০টি, কালো এলাচ ৪-৫টি, লবঙ্গ ১/২ চা-চামচ, জয়ত্রী গুড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল ১/২ চা-চামচ, টকদই ১ কাপ, ঘি ৩-৪ কাপ, শাহী জিরা ১/৩ চা-চামচ, আলু (মাঝারি) ৩-৫টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পানি ৬ কাপ, লবণ স্বাদ মতো, গুঁড়োদুধ ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ কাপ জাফরান ১ চিমটি ও আলু বোখারা ১০-১২টি ।
রন্ধন প্রণালিঃ চাল ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য রেখে দিন। এবার মাংস ধুয়ে লবণ দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিন। ২০ মিনিট পরে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন । এবার শুকনো মরিচ, দারচিনি, এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, জয়ত্রী, জায়ফল, কাবাব চিনি এবং শাহি জিরাসহ সব মসলা গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি হাঁড়িতে মাংস, গুঁড়ো করে রাখা মসলা এবং দই মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
অন্য একটি হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে ওঠা মাত্র চাল দিন। চাল একটু ফুটে এলেই পানি ঝরিয়ে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। জাফরান কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে। চাল ঝরানো গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে নিতে হবে। মাংসের হাঁড়িতে এবার একেক করে ভাজা আলু, পেঁয়াজ, আলু বোখারা এবং ঘি মিশ্রিত গরম পানি দিতে হবে। এবার ওপরে চাল দিয়ে জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন এবং বাকি ঘি-মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে- পানি যেন চালের ওপরে না আসে। এবার হাঁড়ির ঢাকনা দিয়ে ময়দা গুলিয়ে ভালোমতো সিল করে চুলায় চড়িয়ে দিন।
খেয়াল রাখতে হবে, হাঁড়ি আর ঢাকনার মাঝে যেন কোনো ফাঁকা না থাকে। মাঝারি আঁচে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রান্না করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাটন দম বিরিয়ানি । এবার কাবাব এবং চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন । বিরিয়ানী হজম করার জন্য সাথে সালাদ রাখতে ভুলবেন না যেন ।