ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ অনার্স চতুর্থ বর্ষের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। অনার্স ৪র্থ বর্ষের ভারতে মুসলিম প্রশাসন ব্যবস্থার ইতিহাস সাজেশন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর। বিষয়: ভারতে মুসলিম প্রশাসন ব্যবস্থার ইতিহাস (সুলতানি ও মুঘল আমল), বিষয় কোড: ২৪১৬০৯।
ভারতে মুসলিম প্রশাসন ব্যবস্থার ইতিহাস সাজেশন
ক-বিভাগ: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘তকাত ই নাসিরি’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘তবকাত ই নাসিরি’ গ্রন্থটির রচয়িতা মিনহাজ ই সিরাজ।
২. ‘তারিখ ই মুবারকশাহি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘তারিখ ই মুবারকশাহি’ গ্রন্থের রচয়িতা ইয়াহিয়া ইবনে আহমদ সিরহিন্দি।
৩. প্রশাসনের ওপর লিখিত ‘তাজুল মাসির’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘তাজুল মাসির’ গ্রন্থের লেখক ঐতিহাসিক খাজা হাসান নিজামি।
৪. ইবনে বতুতা কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতা ছিলেন মরক্কোর পর্যটক।
৫. ‘হুমায়ুননামা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘হুমায়ুননামা’ গ্রন্থের রচয়িতা গুলবদন বেগম।
৬. দিওয়ান ই আমির কোহি কী?
উত্তর : দিওয়ান ই আমির কোহি হলো কৃষি বিভাগ।
৭. আরজ ই মামালিক কার উপাধি?
উত্তর : আরজ ই মামালিক সামরিক বিভাগের প্রধানের উপাধি।
৮. গনিমত কী?
উত্তর : সুলতানি আমলে যুদ্ধলব্ধ সামগ্রী বা যুদ্ধে লুণ্ঠিত দ্রব্যকে বলা হতো গনিমত।
৯. জিজিয়া কী?
উত্তর : জিজিয়া অমুসলমানদের ওপর ধার্যকৃত নিরাপত্তামূলক সামরিক কর।
১০. উশর শব্দের অর্থ কী?
অথবা, আরবি শব্দ ‘উশরের’ অর্থ কী?
উত্তর : উশর শব্দের অর্থ এক-দশমাংশ।
১১. ইকলিম কাকে বলা হতো?
উত্তর : সুলতানি আমলে প্রদেশকে ইকলিম বলা হতো।
১২. গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড শেরশাহ নির্মাণ করেন।
১৩. রাওয়াত অর্থ কী?
উত্তর : রাওয়াত অর্থ হিন্দু অশ্বারোহী বাহিনী।
১৪. কে সর্বপ্রথম ভারতে দাগ প্রথা প্রবর্তন করেন?
উত্তর : সুলতান আলাউদ্দিন খলজি সর্বপ্রথম ভারতে দাগ প্রথা প্রবর্তন করেন।
১৫. দিল্লি সুলতানি সালতানাতের পুলিশপ্রধানকে কী বলা হতো?
উত্তর : দিল্লির সালতানাতের শাসনামলে পুলিশপ্রধানকে কোতোয়াল বলা হতো।
১৬. দিল্লির সালতানাতে সুবার প্রধানকে কী বলা হতো?
উত্তর : দিল্লির সালতানাতে প্রদেশ বা সুবার প্রধানকে সুবেদার বলা হতো।
১৭. বাবরের উজিরের নাম কী ছিল?
উত্তর : বাবরের উজিরের নাম ছিল নিজামউদ্দিন খলিফা।
১৮. ‘উজির’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘উজির’ শব্দের অর্থ প্রধানমন্ত্রী।
১৯. ‘জিন্দাপির’ কার উপাধি ছিল?
অথবা, জিন্দাপির কার উপাধি ছিল?
উত্তর : সম্রাট আওরঙ্গজেবের উপাধি ছিল জিন্দাপির।
২০. মুঘল আমলে প্রধান কোষাধ্যক্ষের উপাধি কী ছিল?
উত্তর : কেন্দ্রের প্রধান কোষাধ্যক্ষের উপাধি ছিল ‘দিওয়ান ই আলা’।
২১. কবুলিয়ত ও পাট্টা প্রথা প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : কবুলিয়ত ও পাটা প্রথা প্রবর্তন করেন শেরশাহ।
২২. ‘খালসা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘খালসা’ শব্দের অর্থ সরকারি ভূসম্পত্তি।
২৩. কোন সম্রাট সর্বপ্রথম যুদ্ধে কামান ব্যবহার করেন?
উত্তর : সম্রাট বাবর সর্বপ্রথম যুদ্ধে কামান ব্যবহার করেন।
২৪. ‘মনসব’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘মনসব’ শব্দের অর্থ পদমর্যাদা।
২৫. ‘জাট’ কী?
উত্তর : মুঘল আমলে মনসবদারদের অশ্ব, হস্তি ও ভারবাহী জানোয়ারের সংখ্যা বুঝাতে ‘জাট’ কথাটি ব্যবহার করা হতো।
২৬. আহাদি বাহিনী কার অধীনে ছিল?
উত্তর : আহাদি বাহিনী সম্রাটের অধীনে ছিল।
২৭. ‘দিওয়ান’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘দিওয়ান’ অর্থ দপ্তর।
২৮. ‘জাহান কুশা’ অর্থ কী?
অথবা, ‘জাহান কুশা’র শাব্দিক অর্থ কী?
উত্তর : ‘জাহান কুশা’ অর্থ বিশ্ববিজয়ী।
২৯. মুঘল সাম্রাজ্যের বিচার বিভাগের প্রধানকে কী বলা হতো?
উত্তর : মুঘল সাম্রাজ্যের বিচার বিভাগের প্রধানকে কাজি উল কুজ্জাত বলা হতো।
৩০. কাজি উল কুজ্জাত কী?
উত্তর : কাজি উল কুজ্জাত হলো প্রধান বিচারপতি।
৩১. মুঘল আমলে প্রাদেশিক শাসকগণকে কী বলা হতো?
উত্তর : মুঘল আমলে প্রাদেশিক শাসকগণকে বলা হতো সুবাদার।
৩২. সম্রাট আকবরের সময় প্রদেশের সংখ্যা ছিল কয়টি?
উত্তর : সম্রাট আকবরের আমলে সুবার সংখ্যা ছিল ১৫টি।
৩৩. মুঘল আমলে প্রাদেশিক শাসকগণকে কী বলা হতো?
উত্তর : মুঘল আমলে প্রাদেশিক শাসকগণকে সুবাদার বলা হতো।
৩৪. মির বকশি কাকে বলা হতো?
উত্তর : প্রাদেশিক সামরিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ককে মির বকশি বলা হতো।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. জিয়াউদ্দিন বারানির পরিচয় দাও।
২. ইবনে বতুতার পরিচয় দাও।
৩. ইসলামে সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে ধারণা দাও।
৪. দিল্লির সুলতানগণ খলিফার স্বীকৃতি লাভ করতে চাইতেন কেন?
৫. উজিরের ওপর একটি টীকা লেখ।
৬. সুলতানি আমলের দিওয়ান ই ওয়াজিরাত সম্পর্কে ধারণা দাও।
৭. আমির ই শিকারের পরিচয় দাও।
৮. শাহানা ই ফিল বলতে কী বুঝ?
৯. দাগ ও হুলিয়া বলতে কী বুঝায়?
অথবা, দাগ ও হুলিয়ার ওপর একটি টীকা লেখ।
১০. সদর আল সুদুরের কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, সদর উস সুদুরের পরিচয় দাও।
১১. বৈরাম খানের পরিচয় দাও।
অথবা, বৈরাম খান সম্বন্ধে টীকা লেখ।
১২. ‘আইন ই আকবরি’ সম্বন্ধে টীকা লেখ।
১৩. মির বকশি সম্পর্কে কী জানো?
১৪. ‘ঝরোকা দর্শন’ সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
১৫. কবুলিয়ত ও পাট্টা প্রথা বলতে কী বুঝ?
১৬. শেরশাহের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দাও।
১৭. জাট ও সাওয়ার কী?
অথবা, জাট ও সাওয়ার বলতে কী বুঝ?
১৮. মুঘলদের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দাও।
১৯. মুহতাসিবের পরিচয় দাও।
২০. নায়েব উল মূলকের কার্যাবলি আলোচনা কর।
২১. ‘কোতোয়াল’ সম্পর্কে টীকা লেখ।
অথবা, কোতোয়ালের কর্তব্য বর্ণনা কর।
২২. গ্রাম্য পঞ্চায়েতের ওপর একটি টীকা লেখ।
২৩. মুঘল শাসনে প্রদেশগুলো কি কেন্দ্রীয় সরকারের ছায়া ছিল?
অথবা, মুঘল আমলে প্রাদেশিক সরকার কি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিচ্ছবি ছিল?
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্ন
১. দিল্লির সুলতানগণ কি বৈধ সার্বভৌম ছিলেন? খিলাফতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ কর।
২. দিল্লির সুলতানদের পদমর্যাদা, ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর।
৩. দিল্লি সুলতানি আমলের রাজকীয় গৃহস্থালি সংগঠনের বিবরণ দাও।
৪. ওয়াজিরাত প্রতিষ্ঠানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
৫. আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ কর। এর ফলাফল কীরূপ হয়েছিল?
৬. সুলতান আলাউদ্দিন খলজির অর্থনৈতিক সংস্কারসমূহ পর্যালোচনা কর।
৭. দিল্লির সুলতানি আমলের বিচারব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর । সুলতান কি আইনের ঊর্ধ্বে ছিলেন?
অথবা, দিল্লি সালতানাতের বিচারব্যবস্থা পর্যালোচনা কর।
অথবা, দিল্লির সুলতানদের বিচারব্যবস্থা আলোচনা কর।
৮. দিল্লি সালতানাতের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
৯. মুঘলদের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, মুঘল আমলের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের বিবরণ দাও।
১০. মির বকশির ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর।
১১. মুঘল সম্রাটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর।
১২. শেরশাহের শাসন সংস্কার বিশ্লেষণ কর।
অথবা, শেরশাহের প্রশাসন ব্যবস্থা বর্ণনা কর।
১৩. মুঘল আমলের রাষ্ট্রীয় আয়ের উৎসসমূহ উল্লেখ কর।
১৪. মনসবদারি ব্যবস্থা বলতে কী বুঝ? এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ অনুসরণ কর।
১৫. মনসবদারি প্রথা কী? এ ব্যবস্থার সুফল ও কুফল আলোচনা কর।
১৬. মুঘল আমলে বিচারব্যবস্থার প্রকৃতি ও কাঠামো আলোচনা কর।
১৭. মুঘল আমলে ভারতের প্রাদেশিক ও স্থানীয় শাসনব্যবস্থা আলোচনা কর।
১৮. মুঘলদের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
আরো দেখো : ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ৪র্থ বর্ষের সকল বিষয়ের উত্তরসহ সাজেশন
অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা এ সাজেনটি উত্তরসহ সংগ্রহ করতে পারবে। ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইতিহাস সাজেশন সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।